ঢেঁকিও এখন ডিজিটাল

ছবি- সংগৃহীত।

এক সময় পাড়ায় পাড়ায় দেখা মিলতো ঢেঁকি। ঢেঁকিছাঁটা পুষ্টিসমৃদ্ধ চালের চাহিদাও ছিল তুঙ্গে। এখন ঢেঁকি নেই। গায়ের বধূদের একত্রিত হয়ে ঢেঁকি পাড়ানোর চিত্রও দেখা যায় না। তবে ঢেঁকি ঘিরে গায়ের বধূদের জটলা চোখে পড়বে যশোরের একটি গ্রামে। পা ও গায়ের শক্তি ছাড়াই অটোমেটিক ঢেঁকি পাড়ানোর দৃশ্য দেখতে সেখানে ভিড় করছেন নারীরা ।

আরো পড়ুন :
> দৌলতপুরের দুর্গম চিলমারী ইউনিয়ন অশান্ত, আ.লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ১৪
> ওয়াশিংটন ডিসি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

ঢেঁকি শিল্পের ঐতিহ্যে প্রযুক্তির ছোয়া দিয়েছেন যশোর সদরের ফতেপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চাঁদপাড়া গ্রামের মাহাবুবুর রহমান। উদ্ভাবন করেছেন বৈদ্যুতিক ঢেঁকির। যা ‘ডিজিটাল ঢেঁকি’ নামে এলাকায় পরিচিতি লাভ করেছে। তার ‘ডিজিটাল ঢেঁকি’তে ধুম পড়েছে নতুন ধানের চাল ও আটা তৈরির। ঢেঁকিছাটা চাল ও পিঠা-পুলির জন্য আটা করতে দলে দলে আসছেন বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। থেমে দেখছেন পথচারীরা।

চাঁদপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মনিরুজ্জামান বলেন, আমাদের মা-চাচীদের পায়ের ঢেঁকিতে ধান থেকে চাল করতে খুবই কষ্ট হতো। রমজানের ছুটিতে বাড়ি এসে দেখি মাহাবুবুর রহমান বিদ্যুতের সাহায্যে মেশিনের মাধ্যমে ঢেঁকি চালিয়ে ধান থেকে চাল ও চাল থেকে গুড়া করছেন। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসছে। নারীদের আগে অনেক কষ্ট হতো। এই প্রযুক্তির কারণে সহজেই ঢেঁকি ছাটা চাল পাওয়া যাচ্ছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এ ধরনের উদ্যোগ এগিয়ে নিলে ঢেঁকি ছাটা চাল মিলবে আগের মতোই। গ্রামীণ ঐতিহ্য পিঠা-পুলির সমারোহ থাকবে সারা বছর।

এপ্রিল ২৯, ২০২৩ at ১৩:৪২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর