ঠাকুরগাঁওয়ে মোবাইল ফোনের অনলাইন গেমে ছোট বড় শিক্ষার্থীরা ঝুকে পরেছে !

করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দেশ ব্যাপী স্কুল কলেজ বন্দ থাকায় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা মোবাইল গেমে আসক্ত হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন অনলাইন গেমের ফাঁদে পড়ে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ উঠতি বয়সের যুব সমাজ দিন দিন আসক্ত হয়ে পড়েছে। এ অনলাইন গেমের প্রতি আসক্তি এতটাই বেড়েছে অনলাইনে লেখাপড়া বাদ দিয়ে মোবাইল গেমের বুঁধ হয়ে পড়েছে।

এ কারণে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া বাদ দিয়ে অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পরতে পারে। অবিভাবকরা সচেতন না হলে ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে মনে করেন সচেতন মহল। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, খোলা জায়গা, রাস্তার মোড়ে মোড়ে, চায়ের দোকানে বসে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ উঠতি বয়সের যুবকরা তিন থেকে চারজন মিলে অনলাইন গেম পাবজি, ফ্রি ফায়ার লুডুসহ বিভিন্ন ধরনের গেম খেলা করে থাকে।

ফলে দিন দিন গেমের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। পাবজি প্লেয়ার্স আননোন ব্যাটেল গ্রাউন্ড বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইলন গেম। বর্তমানে উপমহাদেশে কয়েকগুণ বেড়েছে এই গেমের জনপ্রিয়তা। মোবাইল ফোন এবং কম্পিউটার দুটোতেই খেলা যায় এই গেম। তবে উপমহাদেশে পাবজির কম্পিউটার ভার্সনের থেকে মোবাইল ভার্সনটিই বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

অবিভাবকরা মনে করেন অনলাইন গেম বন্ধ করা না গেলে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত অন্ধকার হয়ে যাবে। সূত্রমতে, চলতি বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম মহামারী কোভিড-১৯ সনাক্ত হয়। এরপর সংক্রমন প্রতিরোধে সরকার লকডাউন ও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার পাশাপাশি দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন :
> দুই’শ বছরের ঐতিহ্য কলার পাতায় খাবার খেয়ে ঈদ উদযাপন
> পাঁচবিবিতে বিনোদন কেন্দ্রগুলোর ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে, দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড়

ইতোমধ্যে সাধারণ ছুটি ও লকডাউন তুলে নিলেও বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও যথারীতি শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া বাদ দিয়ে অনলাইন গেমের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে নাম প্রকাশের অন ইচ্ছুক কিছু পরিবার বলেন, বর্তমান সময়ে আমরা প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল।

করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি থাকলেও অনলাইনে ক্লাস চলছে। অনলাইনে ভর্তি ও ক্লাস নেয়া হচ্ছে। কিন্তু শিক্ষর্থীরা অনলাইন ক্লাসে মনোযোগী না হয়ে মোবাইল গেমে তাদের আসক্তি বাড়ছে। শিক্ষার্থীদের মোবাইল গেমের আসক্তি থেকে ফেরাতে অবিভাবক, শিক্ষক ও সচেতন মহলের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস একান্ত প্রয়োজন বলে এলাকা বাসী জানান।

এপ্রিল ২৪, ২০২৩ at ১২:৪৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/আআ/সুরা