ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রির তৃতীয় দিনেও রাজধানীর দূরপাল্লার বাস কাউন্টার গুলোতে ভিড় নেই। যাত্রীর আকাল থাকা সত্ত্বেও আজ থেকে বিআরটিসি বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে । তবে প্রথম দিনে যাত্রীর দেখা মেলেনি ।
রবিবার ( ৯ এপ্রিল ) সকাল ১১ টায় রাজধানীর বৃহত্তম বাস টার্মিনাল গাবতলী এলাকার বাস কাউন্টারগুলোতে দূরপাল্লার বাসের অগ্রিম টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড় দেখা যায়নি ।
পরিবহন শ্রমিকদের ভাষ্য , এবার ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে অনলাইনকে প্রধান্য দেওয়া হয়েছে । ফলে চাপ কমেছে কাউন্টারে । যেসব টিকিট বিক্রি হচ্ছে তার অধিকাংশই অনলাইলেনর ফলে কেউই আসছেন না কাউন্টারে ।
আরো পড়ুন :
> রানা প্লাজার সোহেল রানার জামিন স্থগিত
> কুড়িগ্রাম ৪ আসনে এমপি পদপ্রার্থী রহিমুজ্জামান সুমন
এছাড়া ট্রেনের টিকিট ও বাসের টিকিটের মূল্যে অনেকটা পার্থক্য থাকায় সাধারণ যাত্রীরা ট্রেন ভ্রমণে ঝুঁকছেন ।
উত্তরবঙ্গের অন্যতম জনপ্রিয় নাবিল পরিবহনের কর্মচারী সোহরাব জানান, অনলাইনেই বেশিরভাগ টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে । প্রতিবার ঈদের আগে অগ্রিম টিকিটের জন্য লোকজনকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়। করোনা মহামারীর সময়ও টিকিটের জন্য লাইন ধরতে দেখা গেছে । কিন্তু এবার একেবারেই ভিন্ন চিত্র, টিকিটের জন্য কোন ধরনের আগ্রহ নেই ।
একই অবস্থা দেখা গেছে, আগমনী পরিবহন, হানিফ পরিবহন, স্টার লাইন পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন, শ্যামলী এন আর পরিবহনসহ সব পরিবহনের কাউন্টারগুলোতে । কাউন্টারগুলো একেবারে ফাঁকা দেখা গেছে ।
যাত্রী না থাকার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ এবার ট্রেনের টিকিট বেশি কাটছে। কারণ যেখানে বাসের ভাড়া এক হাজার টাকা সেখানে ট্রেন ভাড়া মাত্র ৩০০/৪০০ টাকা । আবার ট্রেনে কোনো যানজট ও নেই। অধিকাংশ পরিবহন শ্রমিকদের ভাষ্য একই ।
এদিকে নৌযাত্রা নিরাপদ করতে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে । এবার সুষ্ঠু ঈদ যাত্রা নিশ্চিত করতে নৌ পুলিশের পাশাপাশি তদরগিতে থাকবে ভ্রাম্যমান আদালত । যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমান আদালত কঠোরভাবে কাজ করবে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে । ঈদ যাত্রা শুরু হলে আগামী ১৭ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত নদীগুলোতে বালবাহী বাল্কহেড চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে নৌ পুলিশ কর্তৃপক্ষ । অতীতে দেখা গেছে ঈদের আগে নৌযানের সংখ্যা ও চলাচল বেড়ে যায় । যাত্রীর চাপ থাকে প্রতিটি নৌ জানে । রাতের বেলায় বল খেলে সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা ঘটেছে । এই ধরনের নৌ দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বাল্কহেড চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে ।
ঝড় বৃষ্টির মৌসুমী থাকায় লঞ্চগুলোতে জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জামের বাড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে । ঢাকা পটুয়াখালী, ঢাকা বরিশাল, ঢাকা হুলারহাট ভান্ডারিয়া, ঢাকা ভোলা, ঢাকা রাঙ্গাবালী সহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নৌরুটে প্রতিদিন শতাধিক লঞ্চ চলাচল করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে ।
এপ্রিল ০৯, ২০২৩ at ১৩:১৯:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/ আক/দেপ্র/ ইর