লাগামহীন নিত্যপণ্যের দাম নাভীশ্বাস সাধারণ মানুষের

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে পবিত্র রমজান উপলক্ষে বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। এতে করে সর্বশান্ত হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষজন। এদিকে দিনমজুররা বলছে দৈনিক আয়ের তুলনায় বেড়েছে প্রতিটি প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। ফলে বাজারে আসলেই এসব মানুষের নাভীশ্বাস ওঠে যায়।

প্রশাসন বলছেন, রমজান উপলক্ষে প্রতিনিয়ত হাটবাজার গুলোতে মনিটরিং করা হচ্ছে। রমজানের আগের রাতে থানাহাট বাজার সরেজমিনে ঘুরে এমন সব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে অনেক ক্রেতাই প্রশ্ন তুলেছেন রমজান আসলে অনেক ব্যবসায়ী নিজে থেকেই তার দোকানের পণ্য বেশি দামে বিক্রি করছে।

কাঁচা বাজারে এই কয়েকদিনে পণ্যের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০টাকা। বিক্রেতাদেও সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত দুইদিনে কেজি প্রতি ৫ টাকা বেড়ে আলু বিক্রি হচ্ছে ২০টাকায় সেই সাথে দেশি আলু ৩৫টাকা কেজিতে। সিম ৩৫ টাকা, পিয়াঁজ ৩৫, বেগুন ২০ ও মোটা বেগুন ৬০টাকা, শষা ৩০ কেজি প্রতি ৩০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ধনে পাতার দাম দ্বিগুন বেড়েছে বর্তমানে সেটি বিক্রি হচ্ছে ৫০ গ্রাম ধনিয়া পাতা ১০ টাকায়। তবে কাঁচা মরিচের দাম একটু কমে কেজি প্রতি ৬০টাকা বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে মাংসের বাজার নিম্নবৃত্তদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮’শ টাকা। খাসি তো ধরা ছোয়ার বাইরে। দিনমজুরদের ভরসা সাদা মুরগী অর্থাৎ ব্রয়লার। তবে সেটির দাম বেড়েছে কয়েক দফা। বর্তমানে দেশি মুরগী বিক্রি হচ্ছে ৬০০টাকা কেজিতে, লেয়ার মুরগী ৩৪০টাকা, ব্রয়লার মুরগী কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৪০টাকাতে। মাংস বিক্রিতা আনারুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে আমরাই বেশি দামে মুরগী কিনে আনতেছি। এর কারণ হিসেবে মুরগির খাদ্যের দাম বেড়েছে। দাম বাড়ায় সারাদিনে ২মণ মাংসও বিক্রি করতে পারি নি। অথচ প্রতি বছর রমজানের আগের রাতে ৭ থেকে ৮ মণ মাংস বিক্রি করছি।

তবে দাম বাড়লেও লাভ আগের মতই আছে বলে জানান এই ব্যবসায়ী। এদিকে চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১২টাকা, ছোলা বুট ও মসুর ডাল ৯০, আদা ৬০ এবং লবণ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে কাঁচা বাজারে প্রতিটি পণ্যেও দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০টাকা। পাশাপাশি মাছের বাজারে সব ধরণের মাছের কেজি প্রতি বেড়েছে ২০ থেকে ৫০টাকা।

আরো পড়ুন :
>রাজাপুরে বিআরটিসি বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে, নিহত ২ আহত ১৫
>চৌগাছায় অগ্নিকান্ডে তিন দোকান পুড়ে ছাই ক্ষতির পরিমান প্রায় ২০ লাখ

ফলে নিম্ন আয়ের মানুষের সস্থির নিঃশ্বাস নেয়ার সুযোগ নেই। থানাহাট বাজারে মাইদুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, প্রতি বছর মধ্যস্বত্বভোগীরা মুসলিমদের গুরুত্বপূর্ণ মাস রমজানের ২/১ মাস আগে থেকে মজুদদারি শুরু করে এবং রমজান মাসে তা বাজারে ছাড়ে ফলে রমজান মাস শুরু হওয়ার আগে থেকেই মূল্য বৃদ্ধি হয়। স্থানীয় অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারে লাভের জন্য বিভিন্ন রকম কারিশমা চালায়।

তবে সরকার চাইলে এই দূর্ভোগ থেকে জনগনকে রক্ষা করার ব্যবস্থা নিতে পারেন। আমরা আশা করছি সরকার এই ব্যপারে জনবান্ধব কর্মসূচি গ্রহণ করবেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করছি। যাতে নির্ধারিত মুল্যের থেকে বেশি দামে দ্রব্যসামগ্রী বিক্রি করতে না পারে। আমরা বাজার পরিদর্শন করেছি এবং নিত্যপণ্যের দামের ব্যাপারে সর্তক করা হয়েছে সকল ব্যবসায়ীদের।

মার্চ ২৪, ২০২৩ at ১২:০০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ফহ/সুরা