৭ মাসেও হয়নি ফলাফল বিপর্যয়ের সমাধান, রাবির উর্দু বিভাগে ফের তালা

সাত মাসেও ফলাফল বিপর্যয়ের সমাধান না পেয়ে ফের বিভাগে তালা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার (৬ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে বিভাগের চেয়ারম্যান ও অফিস কক্ষে তালা দেন ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা সমাধান না পাওয়া পর্যন্ত অবস্থান চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেন।

শিক্ষার্থীরা এসময় কয়েকটি দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো- ফলাফল পুনর্মূল্যায়ন করে দ্রুত নতুন ফলাফল প্রকাশ, যে শিক্ষকরা হুমকি দিয়েছেন তাঁদের বিচার করা, তাদের সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস পরীক্ষা থেকে বিরত রাখা ও ছাত্রবান্ধব বিভাগ সৃষ্টি করা।

আন্দোলনরত বায়জিদ হোসেন অভিযোগ করেন পরিকল্পিতভাবে তাদের ফেল করানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের কাছে যখন আমরা যাচ্ছি, তখন তারা বলছে তোমরা স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে যাও, এ কথা সাত মাস আগে বললে, আমাদের সাত মাস নষ্ট হতো না। আমাদের সাথে কি অন্যায় হয়েছে, তারা তা খুঁজে পাচ্ছে না। আমাদের খেলার পুতুল বানিয়ে আমাদের ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিয়েছে।

আরেক শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান বলেন, প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, যার সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা থাকলেও, তিন মাসেও রিপোর্ট জমা দেয়নি। আমাদের ফলাফল দিতে হবে। যারা হুমকি দিয়েছে তাদের বিচার করতে হবে। এর আগে বিভাগ খুলতে হলে, আমাদের লাশের উপর দিয়ে যেতে হবে।

উর্দু বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আতাউর রহমান বলেন, যারা পাশ করেছে তাদের ভর্তির জন্য নোটিশ দিয়েছি। এ নোটিশ দেওয়ার পরপরই আন্দোলনকারীরা বিভাগ বন্ধ করে দিয়েছে। আমি শিক্ষকদের নিয়ে বসে, পরবর্তীতে কি করা হবে তা সিদ্ধান্ত নিব।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. এম আনিসুর রহমান বলেন, আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থী সকলের সাথে কথা বলেছি। সবার লিখিত বক্তব্য জমা নিয়েছি। শীঘ্রই আমরা তিনজন বসে, আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো এবং তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিব।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, আমি তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে খোঁজ নিব। সমস্যাটি সমাধানে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

আরো পড়ুন:
>রাণীশংকৈলে ইমাম ও খতিবদের নিয়ে সামাজিক সম্প্রীতি’র মতবিনিময় সভা
>চৌগাছায় আ. লীগ নেতা ও সাবেক চাকরিজীবিসহ একদিনে পাঁচজনের মৃত্যু

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ আগস্ট ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ফল প্রকাশ করা হয়। কাঙ্ক্ষিত ফল না পেয়ে ওইদিনই সব শিক্ষার্থী সভাপতির কক্ষে তালা ঝুলিয়ে ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানান। ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্র উপদেষ্টা তিনদিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।

পরবর্তীতে, সমাধান না হওয়ায় গত বছরের ৫ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমরন অনশনে বসেন শিক্ষার্থীরা। সেদিন উপাচার্যের আশ্বাসে রাত সাড়ে আটটার দিকে অনশন ভঙ্গ করে তারা। এসময় উপাচার্যের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।

মার্চ ০৬, ২০২৩ at ২০:০২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/আআ/সুরা