ঢাকা ময়মনসিংহ ৮ লেন মহাসড়কের ৩ টিই বন্ধ

উওরা আজমপুর বিএন‌এস সেন্টার থেকে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের ফ্লাইওভারের আংশিক দুই লেন যান চলাচলের জন্য খুলে দেয় বিআরটি। এতে করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঢাকার বাহির ও প্রবেশমুখী যানবাহনের চাপ অনেকাংশে কমে যায়।

সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জুন মাসে উড়াল সেতু পুরোপুরি খুলে দিতে চায় বিআরটি। তবে উড়াল সেতুর পুরোপুরি সুফলের বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে উওরা আজমপুর সড়কের উপড়ে থাকা সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস)। এসটিএস সরিয়ে নিতে গত ১৫ ডিসেম্বর ২০২০ সালে সিটি কর্পোরেশনকে ৫৮ লাখ ৪১ হাজার তিনশত বাইশ টাকা দেয় বিআরটি।

কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে সিটি কর্পোরেশন আজ পর্যন্ত কাজটি সম্পন্ন করেননি। বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) বলছে, রাজধানীর সঙ্গে গাজীপুরের যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুতগতি সম্পন্ন করতে প্রকল্পের আওতায় ২০.৫ কিলোমিটার পথের মধ্যে উত্তরা আজমপুর থেকে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস এলাকা পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার ফ্লাইওভারের ৮০% কাজ শেষ। বাকি রয়েছে টঙ্গী ব্রিজের কাজটি।

এটি সম্পূর্ণভাবে উপরে ফ্লাইওভার এর সাথে মিশে গেলে উদ্বোধনের পর পুরোপুরি ফ্লাইওভার চালু করে দিতে চায় বিআরটি। কিন্তু ফ্লাইওভারের যে সুফল আছে তা অনেকটাই ব্যাহত হতে পারে সড়কের উপরে থাকা এসটিএস এর কারনে এমনটাই মনে করছেন প্রকল্পের নীতি নির্ধারকরা।

আরো পড়ুন:
>আকাশে ফাটল উড়োজাহাজের চাকা, ঢাকায় জরুরি অবতরণ
>যশোরে কম্পিউটার অপারেটরসহ ভিন্ন ভিন্ন পদে লোক নিচ্ছে এক্সপিডিয়া

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উওরা আজমপুর বিএনএস সেন্টারের পূর্ব পাশে ফ্লাইওভারে উঠা ও নামার সম্মুখ ভাগ। ফ্লাইওভারের দক্ষিণ পাশে ২০ গজ দূরে দেখা যায় সড়কে উপর সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস)। বর্তমানে এসটিএস সড়কের মাঝে ফ্লাইওভারের মুখে অবস্থান করছে।

এর জন্য আট লেনের সড়কটির তিনটি লেন বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে সড়কে যানবাহন চলাচলে বিঘ্নতা সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের মাঝে থাকা এসটিএসের দুই পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। যার জন্য এই জায়গায় হর হামেশা যানজট লেগেই থাকে।

মার্চ ০৬, ২০২৩ at ১৪:২৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/রইমি/সুরা