চিলমারীতে আওয়ামীলীগ দুই নেতার অবৈধ বালু ব্যবসা

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে কুড়িগ্রামের চিলমারীতে অবৈধভাবে ব্রহ্মপুত্র নদের বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে দুই নেতার বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগে জানা যায়, দলীয় প্রভাব খাটিয়ে উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের জোড়গাছ বাসন্তির গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী এলাকা থেকে একাধিক ট্রলি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে ওই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ ও একই ইউনিয়নের সাবেক যুবলীগ নেতা মুকুল মিয়া।

এতে করে নদের ডানতীর রক্ষা প্রকল্প, জোড়গাছ হাটসহ অসংখ্য ফসলী জমি ও বেশ কিছু বসতভিটা বর্ষা মৌসুমে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের শিকার হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দা আমিনুল, আব্দুল জলিল অভিযোগ করে বলেন, সরকার দলীয় লোকজন ব্রহ্মপুত্র নদের তীর থেকে অবৈধভাবে দেদারসে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা করে আসছে। তারা ক্ষমতাসীন দলের হওয়ায় আমরা ভয়ে কিছুই বলতে পারছি না। এভাবে অব্যাহতভাবে অবৈধ বালু উত্তোলন চলতে থাকলে বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙনের শিকার হতে পারে আমাদের বসতভিটা। তাই আমরা দুশ্চিন্তায় রয়েছি।

আরো পড়ুন :
>ডেঙ্গু জ্বরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীর মৃত্যু
>সর্বোচ্চ সিজিপিএ পেয়েও বাছাইয়ে হেরেছে যবিপ্রবি’র অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীর অর্জন!

অবৈধভাবে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে বালু উত্তোলনের অভিযোগ স্বীকার করে রমনা মডেল ইউনিয়নের সাবেক যুবলীগ নেতা মোঃ মুকুল মিয়া বলেন, বর্তমানে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ থাকায় বালুর চাহিদা বেড়ে গেছে, তাই আমরা মানুষের চাহিদা মেটাতে বালু উত্তোলন করছি।

তবে, ওই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ এর সাথে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, সাক্ষাতে কথা হবে। এবিষয়ে রমনা মডেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজগর আলী সরকার বলেন, ‘আমি শুনলাম বিষয়টি৷ যা দুঃখজনক। এ বিষয়ে আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কমনা করছি।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএন)ও মো মাহবুবুর রহমান বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে বালু উত্তোলনের কোন সুযোগ নেই আমি আপনার কাছে শুনলাম এবিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ফেব্রুয়ারি ১৮.২০২৩ at ১২:৩৯:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ফহ/এমএইচ