শিশুদের কোলাহলে মুখর বইমেলা

ছবি- সংগৃহীত।

একুশে বইমেলায় শিশুদের মূল আকর্ষণ এই শিশুপ্রহর। মূলত শিশুদের বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলতেই মেলার একটি অংশকে ঘোষণা করা হয় শিশুপ্রহর হিসেবে।

শুক্রবার ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে শিশুপ্রহর। সেই অনুযায়ী, শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মেলা প্রাঙ্গণের শিশু চত্বর নান্দনিক করে সাজানো হয়।

শিশু চত্বরের স্টলগুলোতে শিশুদের বই রাখা হয়েছে। সেখানে চলন্তিকা বইঘর, শিশু প্রকাশ, শৈশব, চিলড্রেনস বুক, সিসিমপুর ইত্যাদি স্টল রয়েছে, যেগুলোতে রয়েছে শিশুদের বই।

এই আয়োজনে বরাবরই শিশুদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় সিসিমপুরের চরিত্রগুলো। তবে এবার শিশুদের আনন্দ দিতে স্টেজে হালুম, ইকরি ও টুকটুকির দেখা মেলেনি। তবে বই দেখেই আনন্দ নিয়েছে শিশুরা।

ছবি- সংগৃহীত।

মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, শুক্রবার সকাল থেকেই অভিভাবকদের হাত ধরে মেলা প্রাঙ্গণে আসতে থাকে শিশুরা। বইয়ের রাজ্যে এসে মহাখুশি তারা।

দুপুর ১২টা। বাবা মায়ের হাত ধরে এসেছে সোনালি। মা-বাবা দুজনের হাতেই সোনালির আবদারে কেনা বই। ছোটদের মজার মজার ধাঁধা, বিজ্ঞানের বিস্ময় ও আবিষ্কারের গল্প, ভুতুড়ে দুর্গ, অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেজ, ছোটদের বিজ্ঞানের খেলা, টোনাটুনির ম্যাজিক এন্ড কালারিং বুকসহ আরও বেশ কিছু বই। এসব পেয়ে খুশিতে আপ্লুত সোনালি।

উত্তরা থেকে আসা রাতুল সদ্য কেনা বই নিয়ে রোদে বসে পড়তে শুরু করল। জানতে চাইলে রাতুল বলল, কত্ত বড় মাঠ! এখানে এসে আমার ভালো লাগছে। এখানে বই আছে, মাঠ আছে, সিসিমপুর আছে, আরও কত কি! খেলতে পারছি। এখানে আমি সারাদিন থাকব।

ছবি- সংগৃহীত।

একুশে বইমেলার শুরুটা শিশুদের। এ কারণে টুকরা টুকরা অনেক ছবি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে মেলার মাঠজুড়ে। ছোটদের নিয়ে বড়রা দল বেঁধে অনেকেই এসেছে, সিসিমপুরেও শিশুরা দলবেধে আনন্দে হৈ চৈ আর হুল্লোড়ে মেতে আছে, তবে ‘ভিড়’ খুব একটা ছিল না।

আজ মেলা তৃতীয় দিনে এসে প্রথম সরকারি ছুটির দিন পেল। তাই প্রকাশকেরা নিয়ে রেখেছিলেন আলাদা প্রস্তুতি। জানতে চাইলে সুপ্ত পাবলিকেশনের বিক্রয়কর্মী সাগর জানালেন, ছুটির দিন ঘিরে প্রকাশকদের যেমন প্রত্যাশা থাকে, তেমনি থাকে প্রস্তুতিও। আজ মেলার প্রথম ছুটির দিন। আশা করছি, মেলায় বিপুল সমাগম ঘটবে।

ফেব্রয়ারি ০৩.২০২৩ at ১৫:৫১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসআর