মুজিব আদর্শে অবিচল আস্থার আরেক নাম অ্যাডভোকেট একে শিকদার আজাদ

মুজিব আদর্শে অবিচল ও আস্থার আরেক নাম হচ্ছে অ্যাডভোকেট একে শিকদার আজাদ। তার ছাত্র জীবন শুরু হয় বরিশাল ডব্লিউ বি সরকারি ইউনিয়ন মডেল স্কুল থেকে। রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন চাখার ফজলুল হক সরকারি কলেজ থেকে। তারপরে ঢাকা এসে সরকারি বাংলা কলেজে বিএ অধ্যায়নের পাশাপাশি শুরু করেন শক্ত রাজনৈতিক জীবনের অধ্যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।

রাজনীতির পাশাপাশি তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি সম্পন্ন করেন। কর্মজীবনে তিনি ঢাকা জজ কোর্টের একজন আইনজীবী হিসেবে জীবন অতিবাহিত করছেন। তার রাজনৈতিক জীবন টাই ছন্দময়। ঢাকা ১৮ আসনের প্রয়াত এমপি অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের সময় তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর এর বিভিন্ন পদ-পদবিতে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রয়াত অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এর রাজনৈতিক জীবন ছিল অনেক স্বচ্ছ।

স্বচ্ছতার জন্যই তিনি ঢাকা মহানগর উত্তরের কিছু নেতা-কর্মীকে অত্যান্ত ভালোবাসতেন এবং স্নেহ করতেন। তাদেরই একজন হলেন এ কে সিকদার আজাদ। একান্ত সাক্ষাৎকারে একে আজাদ বলেন ছাত্রজীবনে বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি ঠিকই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন পালন করছি আজপর্যন্ত। বঙ্গবন্ধু দেশ এবং দেশের মানুষকে ভালোবাসতেন তারই ধারাবাহিকতায় তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাও পিতার মত মায়া বুকে লালন- করে দেশ এবং দেশের মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন।

তিনি আরো বলেন বিরোধী দলের আন্দোলনের মুখে রাষ্ট্রপতি ৭ ডিসেম্বর ১৯৮৭ সালে সংসদ বাতিল করেন। ১৯৮৮ সালের সাধারণ নির্বাচন সকল দল বয়কট করে। এরশাদের স্বৈরাচারের বিরূদ্ধে দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে সকল বিরোধী দল সম্মিলিতভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ সালে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করে। তখন রাজপথে ছিলাম এখনো আছি।

আরো পড়ুন:
>নাইক্ষ্যংছড়ি দূর্গম পাহাড়ে তীব্র শীতে কাঁপছে সাধারণ মানুষ
>১২ বছর ছাত্রলীগের কমিটি নেই: সাদামাটাভাবে প্রতিষ্ঠাবাষিকী পালিত

গতবছরের বিএনপি-জামাতের আন্দোলনকে প্রতিহত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সকল মিছিল-মিটিং এবং সভা সমাবেশ হয়েছে প্রতিটায় স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করেছি এবং করে যাবো। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তার নেই কোন বাড়ি গাড়ি। বর্তমানে তিনি উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদের জন্য তার জীবন বৃত্তান্ত পেশ করেছেন। দল যদি তাকে যোগ্য মনে করে তাহলে অবশ্যই পদটি তিনি পেতে পারেন বলে আশা ব্যক্ত করেন।

জানুয়ারি ০৫.২০২৩ at ১৬:০১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর