সোনালী মুরগির খামার করে স্বাবলম্বী বিরামপুরের মেহেরুন্নেসা শিল্পী

কজন আদর্শ গৃহিনী হওয়ার পরও যে সমাজের প্রতিটি উন্নয়ন কাজে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারেন, তাকে না দেখলে তা বোঝায় যাবেনা। হাঁস মুরগির খামার করে এলাকার মানুষের কাছে সে বেশ জনপ্রিয়। প্রযুক্তির বিকাশে ইউটিউব দেখে তিনি নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় গড়ে তোলেন ক্ষুদ্র হাঁস-মুরগির খামার। খামারে যেকোনো সমস্যা দেখা দিলে সাথেসাথেই ইউটিউব থেকে দেখে সবকিছু প্রতিকারের ব্যবস্থা করেন মেহেরুন্নেসা শিল্পী।

জানা যায়, করোনার মহামারীর সময় একটি মুরগির খামার গড়ে তোলেন । পাশাপাশি হাঁস ও কবুতর পালন করেন তিনি, পরে ২০২১সালে ১ হাজার মুরগির বাচ্চা নিয়ে গড়ে তোলেন আরেকটি মুরগির খামার। প্রথম দিকে অল্প পরিসরে শুরু করলেও এখন তাঁর খামারে রয়েছে ১৫শ পাকিস্তানি সোনালী মুরগি।

এমনটি ঘটেছে দিনাজপুরের বিরামপুর পৌর শহরের মির্জাপুর মহল্লাতে। মেহেরুন্নেসা শিল্পী পৌর শহরের মির্জাপুর গ্রামের জামিনুর ইসলাম সুমনের স্ত্রী। মেহেরুন্নেসা শিল্পী পাকিস্তানি সোনালী মুরগি পালন করে এলাকায় ব্যাপক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা সবার কাছে অনুকরণীয়।

মেহেরুন্নেসা শিল্পী বলেন, কৃষিকাজ ও মুরগি পালন করতে আমার কাছে ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত ভালো লাগতো। তাই মহামারী করোনায় দীর্ঘসময় বাড়িতে বন্ধ থাকা অবস্থায় প্রথমে মুরগির খামার গড়ে তুলি। পরে খামার আরো বড় করি। এখন আলহামদুল্লিাহ আমার খামারে ১৫শ পাকিস্তানি সোনালী মুরগি রয়েছে।

আরো পড়ুন:
>তীব্র শীত থাকবে আরও দু-একদিন, শনিবার থেকে কমতে পারে
>২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ১২৫৬
>সংসদের ২১তম অধিবেশন বসছে বিকেলে

অল্প সময়েই সফলতা অর্জন করেছি। আমার ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেছে। আশা করছি আগামী দিনে এরচেয়ে আরো বড় পরিসরে আমি মুরগির খামার করবো। মুরগির খামারের মেরুন্নেসা শিল্পীর সফলতা দেখে এলাকার অনেকেই এখন এই মুরগি খামার করতে শুরু করেছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল মমিন বলেন, একজন আদর্শ গৃহিনী ঘরের কাজের পাশাপাশি মুরগির খামার করে একজন আদর্শ খামারি হিসেবে এলাকায় বেশ পরিচিতি। তিনি আরো বলেন, আমরা খামারীদেরকে বিভিন্ন রোগের ভ্যাকসিন প্রদানসহ সবধরণের পরামর্শ ও সহযোগীতা দিয়ে যাচ্ছি।

জানুয়ারি ০৫.২০২৩ at ১০:২৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর