পেয়ারা বাগান মাদ্রাসা রোড ভবন নির্মাণে মানা হয়নি বিল্ডিং কোড

ঢাকা মহানগর উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ৪৯ নাম্বার ওয়ার্ডের মাদ্রাসা রোড এলাকায় শাহিন মিয়া ও হাবিব মিয়ার বিরুদ্ধে বিল্ডিং কোড না মেনে ভবন নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে। সরেজমিন তদন্ত গিয়ে দেখা যায় পেয়ারা বাগান মাদ্রাসা রোড মোড়ে পৌনে চার কাঠা জায়গার উপর নির্মাণ করা হচ্ছে বহুতল ভবন। রাজউক প্লেন মোতাবেক বিল্ডিং এর চারপাশে তিন ফিট করে জায়গা রাখার নিয়ম থাকলেও মানা হয়নি নিয়ম কানুন।

উপরন্তু বিল্ডিংয়ে প্রবেশের সিঁড়ি প্রায় তিন ফিট রাস্তায় চলে এসেছে। এছাড়াও আবাসিক ভবন নির্মাণের স্থলে নির্মাণ করা হয়েছে বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে। সুচতুর বিল্ডিং মালিক এমনভাবে ভবনটি নির্মাণ করেন ১২০০ ভোল্টেজের বিদ্যুতের তার বিল্ডিংয়ের পাশ দিয়েই ঘেঁষে রযেছে। যার ফলে যেকোন মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা।

এই ব্যাপারে রাজউক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে ডিসেম্বর মাসেই তাদের ৪৭ জন ইন্সপেক্টরকে বিভিন্ন স্থানে রদবদল করা হচ্ছে এরই সুবাদে সঠিকভাবে বলা সম্ভব হচ্ছে না ৪৯ নং ওয়ার্ডের দায়িত্বে কে আছেন। তাই কারো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। রাজউক কর্তৃপক্ষ বলেন যদি রাজউকের প্লান এর বাইরে কোন কিছু নির্মান করা হয় তবে অচিরেই আমরা এর ব্যবস্থা নেব।

আরো পড়ুন :
>>জয়পুরহাটে গাঁজাসহ আটক ২
>>পাঁচবিবি জুট মিলের সম্পদ লুট হওয়ার শেষ পর্যায়ে চলছে চাঁদাবাজী!

এই ব্যাপারে বিল্ডিং এর মালিক শাহিন মিয়ার সাথে মুঠোফোনে উক্ত প্রতিবেদক এর কথা হলে তিনি বলেন আমি অফিসে আছি আর আপনি বা কে বিল্ডিং এর কোড মানা হয়নি বা বিল্ডিং সঠিকভাবে নির্মাণ করা হয়নি এটা তদারকি করার। লোকমুখে শোনা যায় ৪৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর জাকিয়া সুলতানা ভবনটি নির্মাণ এর পূর্বেই ভবন মালিককে রাজউকের প্লান নিয়ে তার অফিসে যেতে বলেন।

তিনি কাউন্সিলর অফিসে গিয়েছেন কিনা এই ব্যাপারে অনেকেই সন্দিহান। লোকমুখে আরও শোনা যায় বাড়িওয়ালা আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার কাছের লোক। এ ব্যাপারে জাকিয়া সুলতানা সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমি এইরকম কোন বিচার ইতিমধ্যে করিনি বা আমার অফিসে এরকম কোন লোক আসেনি তবে যদি মনে হয় যে বিল্ডিংটি রাজউকের প্লান এর বাইরে নির্মাণ করা হচ্ছে তবে আপনি নিউজ প্রকাশ করতে পারেন।

আরো পড়ুন :
>>জয়পুরহাটে গাঁজাসহ আটক ২
>>পাঁচবিবি জুট মিলের সম্পদ লুট হওয়ার শেষ পর্যায়ে চলছে চাঁদাবাজী!

আর আমাদের সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক যখন রাস্তার কাজ ধরা হবে তখন আমরা অবৈধ স্থাপনা গুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেব। তবুও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে যদি কোন প্রকার অভিযোগ আমার কাছে আসে তাহলে আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করার চেষ্টা কর

জানুয়ারি ০২.২০২৩ at ১৪:১৯:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর