সিলেটের বিআরটিএ পরিদর্শক আব্দুল বারী ও এডি রিয়াজুল ইসলামের বেপরোয়া চাঁদাবাজি

সিলেট বিআরটিএ-এর মোটরযান পরিদর্শক আব্দুল বারী ও এডি মো.রিয়াজুল ইসলামের বেপরোয়া চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। আব্দুল বারী ও এডি রিয়াজুল ইসলাম সিলেট বিআরটিএ অফিসে যোগ দানের পর থেকেই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে উঠছেন। এ দু’জন যোগদানের পর পাল্টে গেছে অফিসের সকল নিয়মনীতি। মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় প্রতি প্রার্থীর কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করছেন।

এ টাকা বিনিময়ে পরিক্ষায় ফাস করে দেওয়া হয়। কোর্টের বিভিন্ন মহরিরের মাধ্যমে ডান হাত,বাম হাত করে তারা এই ঘুষ বাণিজ্যের টাকা আদায় করেন। এ টাকা প্রদান করলে পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে টাকার বিনিময়ে পাশ দেখানো হয়,টাকা না দিলে পরীক্ষায় যতই পাশ হন না কেন পরীক্ষার্থীকে ফেল দেখানো হয়। পরীক্ষার পর প্রায় ১৫/২০দিন পর্যন্ত কখনও বা এর অধিক সময় লার্নার লাইসেন্স কর্তৃপক্ষ জব্দ করে রেখে দেন, আর এই সময়ে গোপনে পাশ কে ফেল আর ফেলকে পাশ দেখানো হয়। নতুবা বারবার পরীক্ষা দিয়েও লাভ হয় না।

যে টাকা দেয় না সে পাশ করলেই তাকে অকৃতকার্য দেখানো হয়। আবার দালাল মারফতে নির্দিষ্ট টাকা জমা দিলে তাকে কৃতকার্য দেখানো হয়। ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষার সময় সকল পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে এন্ট্রি ফি নাম করে ৩০০ টাকা আদায় করা হয়, কিন্তু এই টাকা কোথায় যায় বা কেন দেয়া হয় এই বিষয়ে কোনও হদিস পাওয়া যায় না। বিআরটিএ-এর অনিয়ম দূর্নীতির বিষয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ সাধারণ মানুষ হয়রানি হয়ে আসছেন। এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া দুস্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কিছু সেবা গ্রহীতা অভিযোগ করেন।

আরো পড়ুন :
>আজ থেকে শুরু হচ্ছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
>সিলেট জকিগঞ্জ হিলালপুর রোডে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত-১
>পরিবারের খাদ্যাভ্যাসে চিনি বাদ দেওয়ার চার উপায়

সিলেট নগরীর আদালত পাড়ায় বিআরটিএ অফিস এলাকায় বিগত সময়ে সাদা পোষাকদারী র‌্যাব, ডিবি পুলিশের কঠোর নজর দারিতে রেখেছিল এবং কিছু দালাল গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে তা বাটা পড়ে গেছে। নেই কোন নজরদারী, বিআরটিএ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও দালাল চক্রের অবাধ বিচরনের অভিযোগে নজরদারী হয়েছিল। দুর্নীতিবাজ বেশিরভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নানা কারন দেখিয়ে বাইরে চলে গেলেও পরবর্তীতে তাদের কঠোর নজরদারীর মধ্যে আনা হয়েছিল।

দুর্নীতিবাজরা সঠিক ভাবে কার্যক্রম না করায় দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আগত লোকদের। জানা যায়,বিআরটিএ অফিসে গাড়ীর কাগজ পত্র রেজিষ্ট্রেশন ও নবায়ন নিয়ে লাগামহীন দূর্নীতি চলছে। বিআরটিএ প্রধান কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সকল কর্মকর্তারা দালাল নিয়োগের মাধ্যমে গ্রাহকদের লক্ষ-লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রতিটি সিএনজি গাড়ী রেজিষ্ট্রেশনের জন্য ২৫ থেকে ৩০ হাজার ও মোটর সাইকেল থেকে ৫ থেকে ১০ হাজার উৎকোচ এবং গাড়ীর লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন :
>আজ থেকে শুরু হচ্ছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
>সিলেট জকিগঞ্জ হিলালপুর রোডে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত-১
>পরিবারের খাদ্যাভ্যাসে চিনি বাদ দেওয়ার চার উপায়

এভাবে বিভিন্ন খাতে আদায় করা হচ্ছে লক্ষ-লক্ষ, কোটি – কোটি টাকা। ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে লাইসেন্স স্মার্ট কার্ড ঢাকা থেকে চুক্তিতে আনা বাবদ ৩০ থেকে ৭০ হাজার টাকা এবং নিরুপায় বিদেশযাত্রীর কাছ থেকে লক্ষ টাকা আদায়েরও অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে রিয়াজুল ইসলাম ও আব্দুল বারীর বিরুদ্ধে।

ডিসেম্বর ২৬.২০২২ at ১৬:২২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর