এক পায়ে লাফিয়ে স্কুলে যাওয়া সুমাইয়াকে হুইল চেয়ারও নগদ অর্থ প্রদান করলেন হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি

এক পায়ে লাফিয়ে প্রতিদিন ২ কিলোমিটার পথ পাড়িয়ে দিয়ে স্কুলে যাওয়া-আসা করা সুমাইয়াকে একটি হুইল চেয়ার ও নগদ অর্থ প্রদান করেছেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি। রোববার বিকেলে হুইপ ইকবালুর রহিমের কিনে দেয়া একটি স্বনিয়ন্ত্রিত হুইল চেয়ার ও নগদ অর্থ প্রদান করেন দিনাজপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার ও ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম সোহাগ।

সুমাইয়াসহ তার বাবা শফিকুল ইসলাম, মা সুমি আক্তার হুইল চেয়ার ও অর্থ গ্রহণ করেন। এ সময় উত্তর আলোকডিহি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামনুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন। সহযোগিতা প্রদান শেষে চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার বলেন, অদম্য সুমাইয়ার পড়ালেখার জন্য যাতে করে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করতে সমস্যা না হয় সেজন্য স্বনিয়ন্ত্রিত হুইল চেয়ার পাঠিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি নগদ অর্থ পাঠিয়ে দিয়েছেন।

আরো পড়ুন :
২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে বেনাপোলে বিক্ষোভ সমাবেশ
যশোর শহরের পুরাতন কসবায় যুবলীগের আয়োজনে ২১ আগষ্ট উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

তার চিকিৎসা করতে আরও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন তিনি। দ্রুত সময়ের মধ্যে সুমাইয়ার পায়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহন করতে বলেন। সুমাইয়াকে নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এই সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেন। কথা হলে হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, সুমাইয়া অদম্য এক মেয়ে। পড়ালেখার জন্য এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে সে বিদ্যালয়ে যায়।

তার ছবি ও ভিডিও দেখার পর নিজেকে আর শান্ত রাখতে পারিনি। চেষ্টা করেছি সাধ্যমত সহযোগিতা করার। তাই তাকে স্বনিয়ন্ত্রিত হুইল চেয়ার ও কিছু আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। তার চিকিৎসার সহযোগিতাও থাকবে আমার পক্ষ থেকে। উল্লেখ্য যে, চিরিরবন্দর উপজেলার আলোকডিহি ইউনিয়নের আলীপাড়ার রিক্সা চালক শফিকুল ইসলামের সুমাইয়া মাত্র দুই বছর বয়সের বসন্ত রোগের সময় রাস্তায় পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনায় তার বাম পা বিকলাঙ্গ হয়ে যায়। পাটি এখন ডান পায়ের থেকে ছোট হয়ে গেছে।

কোন ভাবে পাটি আর দাড়িয়ে মাটিতে পড়েনা। লাফিয়ে লাফিয়ে সুমাইয়াকে সব কাজ করতে হয়। বর্তমানে সে পড়াশোনা করে উত্তর আলোকডিহি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীতে। প্রতিদিন পিঠে ব্যাগ আর হাতে বই নিয়ে এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে এক কিলোমিটার পথ পাড়িয়ে দিয়ে স্কুলে নির্দিষ্ট সময়ে হাজির হয় সে। এ জন্য তাকে আসা-যাওয়া মিলিয়ে ২ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিতে হয় প্রতিদিন।

সুমাইয়া বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চায়। কথা হলে সে বলে, আমার অনেক কষ্ট হয় প্রতিদিন এভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে স্কুলে যেতে। কিন্তু আমি পড়াশোনা করতে চাই। আমি বড় হয়ে চিকিৎসক হবো, যাতে করে আমার মত কেউ চিকিৎসার অভাবে এমন কষ্ট না পায়।

আগষ্ট ২২,২০২২ at :১০:০৫ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/আম/শই