কারও কাছে জীবন ভিক্ষা চাইনি, মাথাও নত করিনি: শেখ হাসিনা

এক এগারোর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আন্দোলন ও চাপে বাধ্য হয়ে মুক্তি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।‌ তিনি বলেন, আমি পরিবার থেকে, বাবার কাছ থেকে এটা শিখছি যে কারও কাছে জীবন ভিক্ষা বা কোনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করব না।

শনিবার (১১ জুন) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে দলীয় নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে যান। সেখানে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, যতবার গ্রেপ্তার হয়েছি, ততবারই নেতাকর্মীদের চিঠি দিয়েছি। চিঠির মাধ্যমে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছি। দেশবাসীকে চিঠি দিয়েছি। আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা সবসময় ঠিক থাকে। এটা বাবার সময়ও দেখেছি।

তিনি বলেন, দেশে ফেরার পর ৮৩ সালে অ্যারেস্ট (গ্রেপ্তার) করা হয়। ডিজিএফআই অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। কারও কাছে কোনোদিন মাথানত করিনি, জীবন ভিক্ষা চাইনি। আমি পরিবার থেকে, বাবার কাছ থেকে এটা শিখেছি যে কারও কাছে, কোনো অন্যায়ের কাছে মাথানত করব না। আওয়ামী লীগকে সবসময় উজানে নাও ঠেলে চলতে হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার অবাক হয় যে ১৫ দিনে আমার মুক্তির জন্য ২৫ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়। এটাই আওয়ামী লীগ। জনগণই হলো আমাদের শক্তি। বিএনপির ক্ষেত্রে জন্মই হলো আজন্ম পাপ। জনগণ বিএনপির শক্তি নয়।

আরো পড়ুন:
এসএসসির রুটিন প্রকাশ, থাকছে না তিন বিষয়ে পরীক্ষা 
ফুটবল খেলতে গিয়ে হাঁটুতে আঘাত, দশম শ্রেনীর ছাত্রের মৃত্যু

সরকারপ্রধান বলেন, জেলে বসে দেশ কীভাবে চালাব, দল কীভাবে চালাব, সেসব লিখে রেখেছিলাম। কীভাবে উন্নয়ন করব সেসব পরিকল্পনা লিখে রাখি। আজ প্রতি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। আমরা একটা বাজেট দিয়েছি। উন্নত দেশে জিডিপি মাইনাসে, আমরা ৫ ভাগের ওপরে রেখেছি। কিছু মানুষ অর্জনকে অর্জন হিসেবে নিতে পারে না। কেন তাদের এই দৈন্য? বিনা পয়সায় টিকা দিয়েছি। বিনা পয়সায় যাদের ভ্যাকসিন দিয়ে তরতাজা করেছি, তারাই এখন সমালোচনা করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, জনমানুষের কল্যাণ আমরা বুঝি। আন্তর্জাতিকভাবে এত বাধা, তবুও নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু করেছি। জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছেন। এ স্বাধীনতা বৃথা যেতে পারে না। আমরা আমাদের কাজ করে যাব। সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করে যাব, যে যাই বলুক। আমরা আমাদের কাজ করে যাব। প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন সুফল পায় সে ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ১০০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা করেছি।

জুন ১১,২০২২ at ১৬:১৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/জানি/জআ