ফুটপাতে হকার মুক্ত রাখতে জিরো টলারেন্স : পশ্চিম থানার ওসি ইলিয়াস

কেউ খাবে তো কেউ খাবেনা তা হবে না তা হবে না। এইরকম শ্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন ফুটপাতের কিছু হকারেরা। তাদের ভাষ্যমতে উত্তরায় পুলিশের ডিসি মোরশেদ আলম সাহেব আসার পর থেকে ফুটপাতে কোন প্রকার ব্যবসা-বাণিজ্য করা যাবে না বলে তিনি ঘোষণা দেন। এরই ধারাবাহিকতায় উত্তরা পূর্ব এবং পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গণ ফুটপাত হকার মুক্ত রাখার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।উত্তরা পূর্ব থানা এলাকায় ঘুরে ফিরে দেখা যায় যে আলাউল এভিনিউ রাস্তায় বিচ্ছিন্নভাবে কিছু ফলের দোকান অবস্থান করে।

এই সকল দোকানের বিষয়ে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি জহিরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন অনতিবিলম্বে এসকল দোকানপাট উচ্ছেদ করে জনগণের চলাচলের জন্য ফুটপাত উন্মুক্ত করা হবে। অন্যদিকে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি ইলিয়াস সাহেবের সাথে ফুটপাত নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন ফুটপাত হকার মুক্ত রাখার ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্স অবস্থানে আছি।

অথচ উত্তরা তিন নাম্বার সেক্টর দুই নাম্বার রোডে তাকওয়া মসজিদের উল্টো পাশে মানিক, মোস্তফা ,আলাউদ্দিন, সাগর ফুটপাত দখল করে হোটেল ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে দেদারছে। সাইফুল নামের আরেক চা দোকানী রাস্তা দখল করে দোকান বসিয়ে রাস্তায় জানযট সৃষ্টি করে চলেছেন। রাজলক্ষ্মীর আশেপাশে তিন রাস্তার মোড়ে গড়ে উঠেছে কিছু ফলের দোকান। রাস্তার এক-তৃতীয়াংশ জুড়েই রয়েছে রেন্ট-এ-কার ব্যবসা এবং ভ্যানগাড়িতে বিভিন্ন রকম পণ্য সামগ্রীর পসরা সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

বাধ্য হয়েই পথচারীকে চলতে হয় রাস্তার মধ্য দিয়ে। উচ্ছেদকৃত অনেক হকার ই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন তাদের খুটির জোর কোথায়? তারা ব্যবসা করতে পারলে আমরা পারবনা কেন?ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নিবার্হী কর্মকর্তা জুলকার নয়নের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু দোকানদার বলেন ফাড়ি থেকে লোক এসে প্রতিদিনই ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে নিয়ে যায় আমাদের কাছ থেকে। আবু মুন্না , নজরুল ইসলাম এবং তাপস পাল জানান এসকল হোটেলের খাবার খেয়ে আমরা ১৫ দিন যাবত অসুস্থ ছিলাম। পথচারীদের দাবী রাস্তার ফুটপাত হাঁটার জন্য উন্মুক্ত করা হোক।

জুন ০৭,২০২২ at ১৫:২৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/রইমি/রারি