দিনাজপুরে বিজিবি কর্তৃক আটককৃত ৩ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার মূল্য অবৈধ মাদক ধ্বংসকরণ

জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি সীমান্ত এলাকায় বিজিবি অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে শুধু মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ করছেনা, সীমান্ত এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে বলেছেন, মাদকদ্রব্য চোরাচালান শুধু দারিদ্রতার কারণে হয় না এটা একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিত্তশালী পরিবারের সন্তানরা আজকে ইয়াবা হেরোইন আসক্ত হয়ে পড়ছে।

যুব সমাজকে ধ্বংস করছে ও সমাজের সুখ শান্তি নষ্ট করছে। ঝরে পড়ছে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা। অনেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধি হয়ে পড়ছে। সর্বগ্রাসি মাদকের প্রসার নিয়ন্ত্রন করতে হলে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। কঠোর হস্তে এর প্রতিরোধ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, মাদকাশক্তির প্রসারে যুবসমাজ ক্রমেই নিস্তেজ হয়ে পড়ছে হারিয়ে ফেলছে কর্ম ক্ষমতা।

তাই প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছেন। আর এই মাদক প্রতিরোধে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি ০২ জুন বৃহস্পতিবার দিনাজপুর সেক্টরের অধীনে মাদকবিরোধী অভিযানে আটক কৃত ৩ কোটি ২৯ লক্ষ ৮৪ হাজার ৭৬৭ টাকা মূল্যের অবৈধ মাদকদ্রব্য ধ্বংস করন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বিশেষ অতিথি বিজিবি রংপুর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবিএম নওরোজ এহসান দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এত প্রতিরোধ গড়ে তোলার পরও কেন মাদক বন্ধ হচ্ছে না এ নিয়ে গবেষনা করা উচিত উল্লেখ করে বলেন, সরবরাহ থেকে মানুষের যে চাহিদা তা নিয়ন্ত্রন করতে হবে। পরিবার থেকে শুরু করে সর্ব ক্ষেত্রেই নজর রাখতে হবে এর ব্যবহার যেন কেউ করতে না পারে। পাশাপাশি মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীদের তালিকা করে চিহ্নিত করতে হবে।

আর এসব করতে হলে জনসচেতনতা প্রয়োজন। দিনাজপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী, ২০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. রফিকুল ইসলাম, ৪২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. রেজাউল করিম, ২৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. শরীফ উল্লাহ আবেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শচিন চাকমা, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুল ইসলাম, কাস্টমস্ এক্সাইজও ভ্যাট বিভাগ দিনাজপুরের ডেপুটি কমিশনার মো. সাইদুল আলম, জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রনের পরিচালক মো. শাহ নেওয়াজ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এমদাদ সরকার, উপজেলা নির্বহি কর্মকর্তা মতুর্জা আল মুঈদ। অনুষ্ঠানটি সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ২৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. রেজাউল করিম।

অনুষ্ঠানে ৪২ ব্যাটালিয়ান ও ২৯ ব্যাটেলিয়ান কর্তৃক সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান বিরোধী অভিযানে ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত আটককৃত অবৈধ মাদকদ্রব্য ধ্বংসের উদ্বোধন করেন হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি। উল্লেখ্য, ধ্বংশকৃত মাদক দ্রব্যের  মধ্যে ছিল ভারতীয় ফেনসিডিল, বাংলা মদ, নেশা জাতিয় ইঞ্জেকশন, নেশাজাতীয়  ট্যাবলেট, যৌন উত্তেজক সিরাপ, গাঁজা, ইয়াবা ও হেরোইন রয়েছে।

জুন ০২,২০২২ at ১৫:৪৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমআ/রারি