শীতে কাহিল বীরগঞ্জের মানুষ

হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে জুবুথুবু হয়ে কাহিল হয়ে পড়েছেন দিনাজপুরের বীরগঞ্জের দুস্থ ও হতদরিদ্র মানুষ। ভারতের হিমালয়ের পাদদেশে উত্তরাঞ্চলে বীরগঞ্জ উপজেলায় হিমেল হাওয়া, কুয়াশা আর শীতের তীব্রতার কারণে ঘরের বাইরে কেউ তেমন বের হচ্ছে না।

হাড় কাঁপানো শীতে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। গবাদি পশু নিয়েও বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও খামারিরা। গরম কাপড়ের অভাবে রাতভর প্রচন্ড ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে তাঁদের। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।

সন্ধ্যা না হতেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে বীরগঞ্জ পৌরশহরসহ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের গ্রামঞ্চলের হাটবাজারের দোকানপাট। তীব্র শীত, ঘন কুয়াশা আর শৈত্য প্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পৌরশহরে ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে দিনের বেলাতেও হেটলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে ছোট-বড় দূরপাল্লার যানবাহন।

কয়েকদিন থেকেই তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার সাথে সাথে শৈত্য প্রবাহের কারণে পৌর শহরে ছিল প্রায় জনশূন্য। হাটবাজারগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল কম। কাজের সন্ধানে শ্রমজীবী মানুষেরা বের হয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। অনেকে রাস্তার পার্শে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুনের তাপ নিতে দেখা যাচ্ছে।

আরো পড়ুন :
খিলক্ষেতে গাঁজা ও মাইক্রোবাসসহ গ্রেফতার ১
নওগাঁয় ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে উৎসব মুখর পরিবেশে চলছে ভোট

ঘোড়াবান গ্রামের ভ্যান চালক সোম জানান, শীতে জবুথবু হয়ে ভ্যান নিয়ে বের হয়েছি কিন্তু প্রচণ্ড ঠান্ডায় আয়-রোজগার কমে গিয়েছে। ঠান্ডার কারণে ভ্যানে মানুষ ঠিকমত উঠছেন না। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ১ থেকে দেড়শত টাকা ইনকাম হচ্ছে। এতে করে সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে। তার পরও কোনোরকম দিন চলছে।

উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের বুড়িহাট এলাকার ফেরি করে মৎস বিক্রয়কারী নিরঞ্জন বলেন, প্রচণ্ড শীত মাছ বিক্রি কমে গিয়েছে। এতে করে পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছি।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে নাপিত, হোটেল শ্রমিক ও অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল কাদের ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তা মো. ছানাউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল কাদের বলেন, কয়েকদিনের শৈত্য প্রবাহে উপজেলাবাসীর জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দুস্থ হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে ৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

জানুয়ারি ০৫.২০২১ at ১৭:০৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/প্ররাজি/রারি