সাবেক স্ত্রীর সাথে প্রতারণা মামলায় আলোচিত ডাক্তারকে ১বছর কারাদন্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা

সাবেক স্ত্রীর সাথে প্রতারণা মামলায় যশোরের আলোচিত কোয়াক ডাক্তার খলিলুর রহমান খলিলকে এক বছরের কারাদন্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানার রায় দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। মঙ্গলবার যশোরের যুগ্ম দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শিমুল কুমার বিশ্বাস এই রায় দিয়েছেন। আদালতে দন্ডপ্রাপ্ত প্রতারক খলিল পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারীর আদেশ দেয়া হয়েছে।

অভিযুক্ত প্রতারক খলিল অভয়নগর উপজেলার চেঙ্গুটিয়ার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। তিনি বসুন্দিয়া মোড়স্থ্য পুরাতন মাছ বাজারের পাশে শ্বশুর বাড়িতে ঘর জামাই থাকতেন। বর্তমানে ভ্রাম্যমাণ হিসেবে ঘুরে বেড়ান।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, একাধিক বিয়ের নায়ক খলিল বসুন্দিয়া মোড়স্থ্য মৃত ডাক্তার মুনসুর আলীর মেয়ে এসএম মাহমুদাকে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন। এসময় বসুন্দিয়া মোড় ফারাজীপাড়ায় সৈয়দ আকবর আলীর বাড়ি ভাড়া নিয়ে মহুয়া সার্জিক্যাল ক্লিনিক নামে একটি হাসপাতাল পরিচালনা করতেন খলিল। ওই ক্লিনিকটি স্থানান্তর করে পুরাতন মাছ বাজারে আসেন।

আরো পড়ুন :
জাবি রসায়ন সংসদের ভিপি গৌতম, জিএস নাজমুল
রাজশাহীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন

সেখানে অধিক মুনাফার জন্য বরিশালের এক যুবকের পুরুষাঙ্গ কেটে হিজড়া বানানোয় খলিলকে পুলিশ আটক করে। এরপরে তাকে মোবাইল কোর্ট কারাদন্ডে দন্ডিত করেন। ফলে ব্যবসায় ধস নেমে আসে। পরে ব্যবসার উন্নতি ঘটানোর জন্য স্ত্রী মাহমুদার কাছ থেকে ২০১৫ সালের ২ এপ্রিল ২০ লাখ টাকা ধার স্বরূপ গ্রহণ করেন খলিল। নির্ধারিত সময়ে টাকা পরিশোধ না করায় বসুন্দিয়া মোড়স্থ্য আলফা মিলগেট শাখা সোনালী ব্যাংকে খলিলের নিজ নামীয় (৩৩০০২৪০৩) নম্বর হিসাবের বিপরীতে ২০ লাখ টাকার গ সিরিয়লের (৫৯৫৯৯২০) একটি চেকের পাতা ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল স্ত্রী মাহমুদাকে দেন।

২৭ এপ্রিল নগদায়নের জন্য চেকটি নিয়ে ব্যাংকে যান মাহমুদা। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমানে টাকা না থাকায় চেকটি প্রত্যাখ্যাত করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধের অনুরোধ জানিয়ে ২৮ এপ্রিল আইনজীবীর মাধ্যমে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে খলিলকে একটি লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা হয়। একই বছরের ৩মে লিগ্যাল নোটিশটি খলিল গ্রহণ করেছে বলে ফেরৎ রশিদ মাহমুদার কাছে আসে।

এক মাস পার হলেও লিগ্যাল নোটিশের কোন জবাব দেয়া বা মাহমুদার টাকা পরিশোধের ব্যাপারে খলিল কোন যোগাযোগ করেনি। ফলে ৯ জুন খলিলের বিরুদ্ধে যশোর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-ক অঞ্চলে মামলা দায়ের করেন মাহমুদা। স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি খলিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ২০ লাখ টাকার জরিমানার আদেশ দিয়েছেন বিচারক।

জানুয়ারি ০৪.২০২১ ২২:২৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/শজ/রারি