ঘোড়াঘাটে চেতনা নাশকে অচেতন করে বাড়িতে চুরি; নারী সদস্যসহ গ্রেফতার ৫

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে আন্তঃজেলা চোর দলের নারী সদস্যসহ ৫ সদস্যকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় ৩১ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী সুজিত কুমার শুভ বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে।

আটক চোররা হলো- রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার চেরাগপুর গ্রামের দারাজ উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৫), গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার পশ্চিম মির্জাপুর গ্রামের মৃত কলিম উদ্দিনের ছেলে মোজাম্মেল হক ফাটুল (৪১)।

আরো পড়ুন:
ঝিকরগাছায় পেন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সাহিত্য আসর
২০২১ সালে ঝিনাইদহের আলোচিত খবর

অপর ৩ জন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার রিশিঘাট গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে সাবু মিয়া (৩৮), মৃত মীর উদ্দিনের ছেলে তারা মিয়া (৪৮) ও ঘোড়াঘাট পৌরসভার শ্যামপুর লালমাটি এলাকার মৃত আবু বক্করের স্ত্রী চামেলী বেগম (৩৫)।

মামলার বাদী সুজিত কুমার শুভর এজাহার সূত্রে ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাত অনুমানিক ১১টায় ঘোড়াঘাট উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের কালিদাস মোহন্ত ও তার বাড়ির পরিবারের লোক জন ঘুমিয়ে পড়ে। ৩০ ডিসেম্বর ভোর অনুমানিক ৪টার সময় সুজিত কুমার দেখতে পান তার বাবা-মায়ের ঘরের দরজা খোলা এবং ঘরে থাকা ড্রেসিং টেবিল সহ ওয়ারড্রপের ড্রয়ার সহ ঘরের বিভিন্ন আসবাব পত্র খোলা।

এ সব আসবাবপত্রের ভিতরে থাকা কাপড় চোপড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে এবং সেখানে থাকা ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ৫ ভরি স্বর্ণ সহ একটি মোবাইল নাই।

সুজিত কুমারসহ পরিবারের লোক জন আসে পাশে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে একটি সূত্র থেকে জানতে পারে যে, উপজেলার রিশিঘাট গ্রামের আঃ সাত্তারের ‍পুত্র মো. জাহিদুল ইসলামের বাড়ীতে কয়েকজন ব্যক্তি স্বর্ণ ভাগাভাগি করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে গিয়ে তাদেরকে আটক করে বাড়ীতে নিয়ে আসে তারা। চোর চক্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, তারা চুরির কথা স্বীকার করে।

উপস্থিতি টের পেয়ে জাহিদুল ইসলামসহ ২ জন পালিয়ে যায়। অজ্ঞান পার্টির অপর নারী সদস্য ঘোড়াঘাট পৌরসভার শ্যামপুর লালমাটি এলাকার মৃত আবু বক্করের স্ত্রী চামেলী বেগম ।

আটকদের দেখতে আসলে তাকে সন্দেহ জনক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং তার কাছ থেকে ব্যাগে রাখা অচেতন করার কেমিক্যাল উদ্ধার করে। ওই কেমিক্যাল পরীক্ষা করার সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ ৪/৫ অচেতন হয়। এ সময় ওই নারী চোর সদস্যকে আটক করে পরিবারের লোক জন। পরে আটকদের ঘোড়াঘাট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির বলেন, চক্রটি দীর্ঘদিন থেকে চুরির সাথে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি-ডাকাতি সংক্রান্ত একাধিক মামলা রয়েছে।

চক্রটির নারী সদস্য প্রথমে টার্গেটকৃত বাড়ির লোকজনকে বিশেষ কেমিক্যাল প্রয়োগ করে অচেতন করে। পরে দলটির পুরুষ সদস্যরা রাতে চুরি সংঘঠিত করে। আসামীদেরকে শুক্রবার দুপুরে দিনাজপুর বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামীদেরকে গ্রেফতারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

ডিসেম্বর ৩১.২০২১ at ১৯:২০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মউআম/মক