ঝিনাইদহ ও হরণিাকুন্ডুতে নির্বাচনী সহিংসতা মেম্বর প্রার্থীসহ ৬ জন আহত ফাঁকা গুলি

নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা জেলার বিভিন্ন স্থানে হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের ডেফলবাড়িয়া গ্রামে বিজয়ী ও পরাজিত মেম্বর প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন।

সদর উপজেলার দোগাছি কেন্দ্রেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। হরিশংকপুর ইউনিয়নের বাকড়ী গ্রামে একটি কমলা বাগান লুটপাট করা হয়েছে। বাড়ি ছেড়েছে একাধিক পরিবার। জেলার হরিণকুন্ডু উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের হিজলী গ্রামে আব্দুল হাকিম নামে এক মেম্বর প্রার্থীর উপর হামলা হয়েছে। নির্বাচনের পর রাতে ও গতকাল সোমবার এসব ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সদর উপজেলার কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের ডেফলবাড়ীয়া গ্রামে রোববারের ৪র্থ ধাপের নির্বাচনে সদস্য পদে নির্বাচিন হন জয়নুদ্দিন। সোমবার সকালে জয়নুদ্দিনের সমর্থক আশরাফুল ইসলাম সাহেব বাজারে গেলে পরাজিত মেম্বর প্রার্থী কলিম উদ্দিনের সমর্থকরা তাকে মারধর করে। এ ঘটনার জের ধরে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আহতদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দোগাছি কমিউনিটি সেন্টারের ভোট কেন্দ্রে ভোট গননা শেষে রেজাল্ট দিতে দেরি হওয়ায় গ্রামবাসি ভোট কেন্দ্রে হামলা চালায়। মোরগ মার্কার সমর্থকরা প্রথমে কেন্দ্রে ইটপাটকেল ও পরে দলবদ্ধ ভাবে কেন্দ্রের মধ্যে প্রবেশ করতে চাইলে আনসার সদস্যরা ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালায়।

আরো পড়ুন :
রাণীশংকৈলে নব নির্বাচিত ইউপি সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত
লালপুরে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

তবে কেও হতাহত হয়নি। দায়িত্বরত আনসার কমান্ডার আলমগীর হোসেন জানান, পরে ষ্ট্রাইকিং ফোর্স এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। হামলার সময় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ভীত সন্ত্রস্ত্র হয়ে পড়েন। এদিকে হরিণকুন্ডু উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের হিজলী গ্রামের মেম্বর প্রার্থী আব্দুল হাকিম রোববার রাত ৯টার দিকে পলিয়ানপুর গ্রামে ঝন্টুর চায়ের দোকানে চা পান করছিলেন।

এ সময় অপর প্রার্থী আব্দুল আলীম তার সহযোগী রানা ও সোহাগকে সঙ্গে নিয়ে তার উপর হামলা চালায়। হামলায় তার মুখমন্ডল রক্তাক্ত হয়। তিনি এ বিষয়ে হরিণাকুন্ডুর রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও এখনো কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, সদরের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। আহতদের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ডিসেম্বর ২৭.২০২১ at ২০:৫০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/কালি/রারি