যশোর শিক্ষা বোর্ডে চার ধাপে প্রায় সাত কোটি টাকা লোপাট!

যশোর শিক্ষা বোর্ডে চেক জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের ঘটনা একের পর এক উদঘাটিত হচ্ছে। এ পর্যন্ত চার ধাপে ৩৮টি চেকে প্রায় ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে। অভ্যন্তরীণ ও সরকারি অডিটের দুর্বলতায় এমন ঘটনা ঘটছে। লোপাটকৃত অর্থের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা বোর্ড কর্তৃপক্ষের। কি পরিমাণ অর্থ আত্মসাত হয়েছে সে চিত্র উদঘাটনে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তাদের।

৭ অক্টোবর যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ব্যাংক হিসেবে ৯টি চেকের বিপরীতে আড়াই কোটি টাকার গরমিল পাওয়া যায়। ২০২০-২১ অর্থ বছরের আয়-ব্যয় বোর্ডের সকল ব্যাংক একাউন্টের স্টেটমেন্টের সাথে মিলকরণের করার সময় এ অমিল ধরা পড়ে। এরপর দ্বিতীয় ধাপে প্রায় ১৬ লাখ, তৃতীয় ধাপে ২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ও সবশেষ রোববার উদঘাটিত হয় আরও প্রায় এক কোটি ৮৩ লাখ টাকার জালিয়াতির তথ্য।

বোর্ডের তথ্যমতে, ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে চলতি অর্থ বছর পর্যন্ত চেকের মাধ্যমে প্রায় তিনশ’ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।

এ ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত বোর্ডের হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম। কৌশলে চেক বিলের গ্রাহকের নাম পরিবর্তন করে টাকা হাতিয়ে নিতেন তিনি। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেন বোর্ডের নিয়মিত ঠিকাদার শরিফুল ইসলাম বাবু।

আরো পড়ুন:
পয়েন্টে এগিয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত আর্জেন্টিনার
যুক্তরাষ্ট্রকে পিছনে ফেলে বিশ্বের ধনী তালিকায় চীন

যশোর শিক্ষা বোর্ডের হিসাব ও নিরীক্ষা বিভাগের উপপরিচালক মো. এমদাদুল হক বলেন, বর্তমানে আমরা সব চেক খতিয়ে দেখছি। আমরা দেখেছি ২০০ টাকার চেকের ওপর সে জালিয়াতি করেছে কয়েক লাখ টাকা। এ জন্য আমরা সবকিছু খতিয়ে দেখছি।

বোর্ডে কর্মরত বিভিন্ন শাখার কর্মচারীরা জানান, নিরপেক্ষ তদন্ত হলে শুধু সাত কোটি নয় আরও বেশি অঙ্কের জালিয়াতির তথ্য পাওয়া যাবে। এদিকে যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আমীর হোসেন মোল্লার নাম অর্থ আত্মসাতের মামলায় উল্লেখ থাকলেও তার দাবি, জালিয়াতি কর্মকাণ্ডের তথ্য তার তৎপরতায় বেরিয়ে এসেছে।

নভেম্বর ১৭.২০২১ at ১১:২৯:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সনি/জআ