ঝিকরগাছায় প্রিজাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় এক প্রিজাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে ভোট গণনায় কারটুপির অভিযোগ এনেছে এক ইউপি সদস্য প্রার্থী। ঘটনাটি উপজেলার খোশালনগর-বালিয়াডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রের। ঐ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার আনোয়ারুল ইসলাম ঝিকরগাছা সম্মিলনী মহিলা ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক। ঘটনায় ভোট পুনঃগণনার দাবী জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ইউপি সদস্য প্রার্থী সামছুর রহমান।

লিখিত অভিযোগে ইউপি সদস্য প্রার্থী সামছুর রহমান উল্লেখ করেন, উপজেলার বাঁকড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে (খোশালনগর) ইউপি সদস্য টিউবওয়েল প্রতিক নিয়ে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এছাড়াও মোসলেম আলী মোরগ ও মফিজুর রহমান ফুটবল প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বদ্ধিতা করেন। খোশালনগর-বালিয়াডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে এ ওয়ার্ডের ভোট গ্রহণ করা হয়েছে।

সেখানে প্রিজাইডিং অফিসার হিসাবে দায়িত্বপালন করেন ঝিকরগাছা সম্মিলনী মহিলা ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম। অভিযোগকারীর দাবী, তার প্রতিকে ভোট বেশী থাকা সত্ত্বেও প্রিজাইডিং অফিসার কারচুপি করে তাকে পরাজিত করেছে। এসময় প্রিজাইডিং অফিসার আনোয়ারুল ইসলাম কোন প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট গণনার কোন সংখ্যা প্রকাশ করেনি। মৌখিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করে তিনি পুলিশ নিয়ে ভোট কেন্দ্র ত্যাগ করেন।

আরো পড়ুন :
কোটচাঁদপুরে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় আহত আরও এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু
দৌলতপুরে তুচ্ছ ঘটনায় যুবলীগ নেতা বাবু গ্রেপ্তার

টিউবওয়েল মার্কার পোলিং এজেন্ট ইমামুল হোসেন জানান, সকল ভোট গণনা শেষে প্রিজাইডিং অফিসার আনোয়ারুল ইসলাম এসে শুধুমাত্র টিউবওয়েল মার্কার ব্যালটগুলো নিয়ে একটা একটা করে ৭৯ টা ভোট বাতিল করেন। কারণ জানতে চাইলে তাকে গ্রেফতার করার হুমকি প্রদান করা হয় এবং তার কাছে পুলিশ বসিয়ে রাখা হয়। কয়েকজন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার একর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলে তাদের থামিয়ে দেয়া হয়।

ইউপি সদস্য প্রার্থী সামছুর রহমান জানান, শুনেছি ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে তিনি ফলাফল পরিবর্তন করেছেন। জনগণ আমাকে ভোট দিয়েছে। প্রিজাইডিং অফিসার কারচুপি করে আমাকে পরাজিত ঘোষণা করেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক প্রিজাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও ভোট পুনঃগণনার দাবী জানায়। প্রিজাইডিং অফিসার আনোয়ারুল ইসলাম ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সেটা বন্ধ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে রিটানিং অফিসার ও উপজেলা কৃষি অফিসার মাসুদ হোসেন পলাশ জানান, বিষয়টি শুনেছি এবং অভিযোগকারী এসেছিল কিন্তু ভোট পুনঃগণনা করতে হলে তাকে আদালতের আশ্রয় নিয়ে হবে। কারণ ভোট গণনা শেষে সবকিছু বস্তাভরে সিলগালা করা হয়। যা আমাদের খোলার কোন আইন নেই। আদালত যদি ভোট পুনঃগণনার নির্দেশ দেন তাহলে আমরা সেটা খুলে পুনঃগণনা করতে পারব। লিখিত অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুল হক ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়েরের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।

নভেম্বর ১৪.২০২১ at ১৮:৫৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমআ/রারি