যশোর ঝিকরগাছায় রেলওয়ের জমি অবৈধভাবে দখল করে স্হাপনা নির্মাণ, কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিরব

যশোরের ঝিকরগাছায় রেলওয়ে স্টেশনের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে ভূমিদস্যুরা।

অভিযোগ রয়েছে রেলের এক শ্রেণির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে রেলের মূল্যবান সম্পত্তি দখল করে নিচ্ছে প্রভাবশালী দখলদাররা। দখলদাররা পাকা দোকান-পাট, স্থাপনা নির্মাণ করে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এসব জমি ধীরে ধীরে দখলদারদের কব্জায় চলে যাচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, রেলওয়ের এক শ্রেণির অসৎ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দখলদারদের যোগসাজশ থাকায় এই মূল্যবান সম্পদ বেহাত হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ কিংবা স্থানীয় প্রশাসনের কোনো মাথা ব্যথা দেখা যায়নি।

উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের বোধখানা গ্রামের আবু বকরর স্ত্রী মুসলিমা খাতুন (৩৫) সম্প্রতি ২০ জুন ২০২০ সালে রেলওয়ে ভূমি বাণিজ্যিক লাইসন্স পাওয়ার জন্য বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা, বাংলাদশ রেলওয়ে, পাকশী বরাবর ঝিকরগাছা স্টেশন এলাকায় অবস্তি তফশীল চৌহদ্দী ভূক্ত ২৫-১৪ বর্গফুট রেলের জায়গায় একটি ঘর নির্মাণের আবেদন করেছেন। কি আবেদন রিসিভ কপিতে ২০ জুন ২০২১ সাল উল্লেখ রয়েছে। আবেদনকারীর আবেদনে উল্লেখ করেছেন, উক্ত জমি আমি বাণিজ্যিক লাইসেন্স গ্রহণ করতে অথবা অবৈধ দখলে রাখার কারণে ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে ইচ্ছুক হওয়ায় আবদনকারীর নিকট বাণিজ্যিক লাইসেন্স অথবা ক্ষতিপূরণের চাহিদা ইস্যু করে রাজস্ব প্রদানের অনুমতি চেয়েছেন।

আরো পড়ুন:
গাইবান্ধায় ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি আরিফ গ্রেফতার
যে সব খাবারে নিয়ন্ত্রণ হবে ডায়াবেটিস

স্কুল শিক্ষক আশরাফুজ্জামান বাবু জানায়, মুসলিমা খাতুন পুরাতন একটি বাড়িতে বর্তমানে বসবাস করছেন। সেখানে তার কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নেই। তিনি রেলওয়ে ভূমি বাণিজ্যিক লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদন করেই কাজ করার অনুমতি ব্যতিরেকে নতুন ভাবে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) স্থাপনা নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করলে, স্হানীয়রা এ বিষয়ে যশোর কাচারী অফিসে যোগাযাগ করলে রেল কর্তৃপক্ষ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। কিন্তু অদৃশ্য ক্ষমতার বলে মুসলিমা রবিবার (১৪ নভেম্বর) থেকে আবারও স্হাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। এ বিষয়ে এলাকার সচেতন মহল অবৈধ স্হাপনা দ্রুত অপসারণের দাবী জানিয়েছেন।

যশোর কাচারী অফিসের আমিন আব্দুল মতিন বলেন, মুসলিমা খাতুন একটা আবেদন করেছে। তবে তাদের কাজের জন্য কোন অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তাহলে কিভাবে কাজ করছে জানতে চাইলে তিনি উত্তর দিতে পারিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিকরগাছা রেল স্টেশন মাস্টার নিগার সুলতানা বলেন, আমি কিছু দেখিনি। কিছু বলতে পারবো না। অথচ স্টেশন থেকেই স্হাপনা দেখা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এড়িয়ে যান তিনি।

নভেম্বর ১৪.২০২১ at ১৪:০৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/শজ/জআ