আগামী ১১ নভেম্বর ঝিকরগাছায় অনুষ্ঠিত হবে ইউপি নির্বাচন

ইউনিয়ন নির্বাচন
ছবি: প্রতীকী

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের আগামী ১১ নভেম্বর ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছে ১১জনপ্রার্থী। কিন্তু ১১জনপ্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে নিজদলীয় একাধিক স্বতন্ত্রপ্রার্থী, জাতীয় পাটি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রয়েছে। সবাই মিলেমিশে নির্বাচনে জয়ী হতে কাজ করে চলেছে।

যার মধ্যে ৪নং গদখালী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী আশরাফ উদ্দিন’র সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা স্বতন্ত্র আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা হলেন, প্রিন্স আহম্মেদ, শাহাজান আলী, সহিদুল ইসলাম, শফিউল্লাহ খান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আ. আজিজ। ৪নং গদখালী ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে সকল চেয়ারম্যান প্রার্থীরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আশায় একযোগে কাজ করে চলেছে।

কিন্তু চেয়ারম্যানপ্রার্থীদের সাথে এলাকার মধ্যে গোলযোগ সৃষ্টি করতে ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বারপ্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম ওরফে ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি তার ওয়ার্ডে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী আশরাফ উদ্দিন ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী চশমা মার্কার শাহাজান আলীর নির্বাচনী পোস্টারের উপরে নিজের তালা মার্কার পোস্টার লাগিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠলে। ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বারপ্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম ওরফে ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলমের এলাকায় গেলে ঘটনার সততা পাওয়া যায়।

যেটা নির্বাচনী আচারণ বিধি লঙ্ঘন। নির্বাচনী আচারণ বিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে এলাকার সচেতন মহল প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ২০১৬ সালের গেজেট অনুসারে এসআরও নং ৩০-আইন/২০১৬।

স্থানয়ী সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৬১নং আইন) এর ধারা ২০ এর উপধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপনের ৪নং কলামে উল্লেখ রয়েছে, ‘দেওয়াল’ অর্থ বাসস্থান, অফিস, আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসাকেন্দ্র, শিল্প কারখানা, দোকান বা অন্য কোন স্থাপনা, কাঁচা বা পাকা যাহাই হোক না কেন, এর বাহিরের ও ভিতরের দেওয়ালে বা বেড়া বা উহাদের সীমানা নির্ধারণকারী দেওয়াল বা বেড়া এবং বৃক্ষ, বিদ্যুৎ লাইনের খুঁটি, থাম্বা, সড়ক দ্বীপ, সড়ক বিভাজক, ব্রিজ, কালভার্ট, সড়কের উপরিভাগ ও বাড়ির ছাদও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।

আরো পড়ুন :
যশোরে বেনাপোলে গাঁজাসহ ১ নারী আটক
শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে নওয়াপাড়ায় মাদক ব্যবসায়ী গণধোলাই

এবং একই প্রজ্ঞাপনের ৩১নং কলামে বিধিমালার বিধান লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধের ১নং কলামে উল্লেখ রয়েছে, কোন প্রার্থী বা তাহার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি নির্বাচন-পূর্ব সময়ে এই বিধিমালার কোন বিধান লঙ্ঘন করিলে অনধিকার ৬ (ছয়) মাসের কারাদন্ড অথবা অনধিকার ১০(দশ) হাজার টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন। ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বারপ্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম ওরফে ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হয়তো আমার লোকজনে এটা করেছে। আমি সেটা জানিনা।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ডা. কাজী নাজিব হাসান বলেন, আমার নিকট কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে নির্বাচনকালীন প্রার্থীর পোস্টার ঝুলিয়ে রাখতে হবে। কোন দেওয়াল ও গাছে পোস্টার লাগনো যাবে না।

নভেম্বর ০৬.২০২১ at ২৩:০৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/আক/রারি