রাজশাহীর নওদাপাড়া মাছ বাজারে মিলছে পুকুর-নদী-জলাশয়ের সব ধরনের মাছ। তবে এই সময় সরবরাহ কম থাকায় দাম তুলনামূলক বেশি।
ভোর থেকেই রাজশাহীর নওদাপাড়ার এই বাজারে শুরু হয় তরতাজা মাছের সরবরাহ। আর ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় ঘণ্টা দুয়েক বাজারটি থাকে সরগরম।
স্থানীয় রুই, কাতলা, মৃগেল, বোয়াল, আইড়, রিঠাসহ খাল-বিল-পুকুরের সব ধরনের মাছ পাওয়া যায় এ বাজারে। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জেলা থেকেও আমদানি করা খুচরা মাছ উঠে এখানে। তবে ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে চাষ-পুকুরের বড় মাছ আর বিলের খুচরা মাছ। ৫ থেকে ৮ কেজি রুই-কাতল আর ৬ কেজির নদীর বোয়ালও পাওয়া যায় এ বাজারে।
তাজা ও টাটকা মাছের আশায় এ বাজারে আসেন খুচরা, পাইকার, জেলার বাইরের ব্যাপারীসহ আশপাশের জেলার সৌখিন মাছ ক্রেতারাও।
ক্রেতারা জানিয়েছেন, আজ মাছের দাম একটু বেশি। এদিকে বিক্রেতারা বলেছেন, এ বাজারে পাইকার বেশি, তাই এখানে মাছের সরবারহও বেশি হয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে মাছ আসে এখানে।
প্রায় ৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে এ বাজারে ব্যবসা করছেন শতাধিক ব্যবসায়ী। পুরনো এই বাজারটির জন্য নির্দিষ্ট একটা স্থান নির্ধারণ করে এর সুযোগ-সুবিধার বাড়ানোর দাবি মাছ বাজার সমিতির।
এ বিষয়ে নওদাপাড়া মাছ বাজারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি মো. ইসরাইল বলেছেন, সরকারের কাছে আমাদের বিশেষ আবেদন যেন আমাদের জন্য একটি পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়। তাহলে আমরা স্থায়ীভাবে ব্যবসা করতে পারব। তা ছাড়া আমরা ক্ষতির মুখে পড়ব।
মাছের জোগানের ওপর নির্ভর করে এ বাজারে কমবেশি প্রতিদিন ৭৫ থেকে ৮০ লাখ টাকার মাছ বেচাকেনা হচ্ছে।
নভেম্বর ০৪.২০২১ at ১৮:৪৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মারারা/রারি