মদনে নিখোঁজের ১২ দিন পর স্কুল ছাত্র উদ্ধার

নেত্রকোনার মদন উপজেলার আদর্শ পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনির ছাত্র তারিকুজ্জামান ইপুকে ১২ দিন পর একটি হোটেল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাশের উপজেলার আটপাড়ার তেলিগাতী বাজার থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে উদ্ধার করা হয়। শনিবার জবান বন্দি নেওয়ার জন্য তাকে নেত্রকোনা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।

ইপু নিখোঁজের পর তার বাবা ১৩ অক্টোবর গোলাপ মিয়াসহ ৪ জনকে আসামি করে থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে পুলিশ সোমবার (১৮ অক্টোবর) প্রধান আসামি গোলাপ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে (২২ অক্টোবর) শুক্রবার নেত্রকোনার জেল হাজতে তাকে প্রেরণ করেন। থানা থেকে ১১ কিলোমিটরা দূরে তেলিগাতী বাজার থেকে ইপুকে উদ্ধার করায় স্কুল ছাত্র অপহরণ নাটকের ঘটনা নিয়ে এলাকায় নানা আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় গোলাপমিয়াসহ ৪জনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় আসামি পক্ষের লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে এর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান।

থানা সূত্রে জানা যায়, ১১ অক্টোবর কাপাসাটিয়া গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে তারিকুজ্জামান ইপু প্রাইভেট পড়তে মদন পৌর সদরে যায়। পরে বাড়ি না ফেরায় তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাগজান গ্রামের মৌলা মিয়ার ছেলে গোলাপসহ ৪জন কে আসামি করে ইপুর বাবা বুধবার রাতে (১৩ অক্টোবর) মদন থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে (১৯ অক্টোবর) সোমবার কুমিল্লা থেকে প্রধান আসামি গোলাপ কে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আসামি গোলাপ কে নিয়ে সিলেট ও কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কোন সন্ধান না পাওয়ায় শুক্রবার (২২ অক্টোবর) গোলাপকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন মদন থানার পুলিশ। ওই দিনেই সন্ধ্যায় আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতী বাজার থেকে তারিফুজ্জামান ইপুকে উদ্ধার করে মদন থানায় নিয়ে আসা হয়।

আরো পড়ুন :
পাবনা টেবুনিয়া হারেজ আলী ফাউন্ডেশনের উদ্বোধন ও মেধাবৃত্তি প্রদান
নওগাঁয় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধ ও দোষীদের বিচারের দাবিতে সুজনের মানববন্ধন

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তেলিগাতী বাজারের একাধিক প্রত্যকদর্শী জানান, স্কুল ছাত্র ইপু ৪/৫ দিন ধরে বাজারের একটি হোটেলে কাজ করছে। শুক্রবার বিকালে ছেলেটির বাবা তাকে নিয়ে মদনের দিকে যাওয়ার সময় বাজার পূর্বদিকের শেষ প্রান্ত থেকে পুলিশ এসে নিয়ে যায়। এ সময় ছেলেটির কাছে কাপড়সহ একটি ব্যাগ ছিল। এদিকে আসামির এলাকার রফিকুল ইসলাম, ইমরানসহ অনেকেই জানান, গোলাপ যদি ছেলেটিকে অপহরণ করে থাকত তাহলে তাকে নিয়ে অভিযান করার সময় উদ্ধার হতো। স্কুল ছাত্র অপহরণ, নাকি সে সেচ্ছায় পালিয়ে ছিল বিষয়টি তদন্ত করে সত্য প্রকাশ করার দাবি জানান তারা।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মদন থানার এস আই আজিজুর রহমান জানান, ভিকটিমের জবান বন্দী আদালতে দেওয়া হবে। তদন্ত স্বার্থে এখন কিছু বলা যাবে না। মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ফেরদৌস আলম জানান, স্কুল ছাত্র তারিফুজ্জামান ইপু কেশুক্রবার আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতী বাজারের একটি হোটেল থেকে উদ্ধার করা হয়। ২২ ধারা জবান বন্দি দেওয়ার জন্য শনিবার তাকে নেত্রকোনা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

অক্টোবর ২৩.২০২১ at ১৭:০৪:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/আআ/জআ