পিতার নামে মিথ্যা তথ্য পরিবেশনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

পাবনায় উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে প্রয়াত পিতার নামে গণমাধ্যমে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পরিবারের পক্ষে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ আওয়ামী মনোনীত সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিসয়ক সম্পাদক মো. মশিউর রহমান।

সোমবার দুপুরে সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যদেন পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহম্মদ ফিরোজ কবির, সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহীনুজ্জামান শাহীন, পৌর মেয়র রেজাউল করিম রেজা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাতবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন প্রমূখ।

এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও কৃষকলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে মো. মশিউর রহমান লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, স্বার্থন্বেষী মহল তাদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য আমার মৃত পিতার নামে মিত্যা অপবাদ দিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশ করেছে যে, আমার পিতা শান্তি কমিটির সদস্য ছিল। যাহা সম্পূর্ণরুপে মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আমার পিতা সৈয়দ আলী খান ১৯৫৪ সালে যুক্তফন্ট নির্বাচনে যুক্তফন্টের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ বুমিকা রাখেন।

১৯৫৪ সালে সুজানগর থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। ১৯৫৯ সালে শাহাদত হোসেন হোসেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি থাকা অবস্থায় ঐ কমিটিতে আমার পিতা সৈয়দ আলী খান সহ-সভাপতি ছিলেন সে কমিটি ১৯৭২ সাল পর্যন্ত কার্যকর ছিল। ১৯৭০ এবং ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে আহম্মদ তফিজ উদ্দিন এর পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। বর্তমানে আমরা কয়েক ভাইবোন কেন্দ্রিয় এবং জেলা পর্যায়ের আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। আমরা এই মিথ্যা তথ্য পরিবেশনের প্রতিবাদ জানাই এবং জড়িতদেও শাস্তি দাবি করছি।

তিনি আরো বলেন, আসন্ন নির্বাচনে আমি দলীয় মনোনয়ন পেয়েছি। আমার প্রয়াত পিতা ও পরিবারকে হেয় করতে এবং নির্বাচনে হারানোর কৌশল হিসেবে একটি বিশেষ এই মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করছে।

আরো পড়ুন :
আত্রাই হাটকালুপাড়া ইউনিয়ন বাসীর সেবক হতে চান: সাজেদুর রহমান
আশুলিয়ায় ১১ বছরের শিশু শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা

এসময় পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহম্মদ ফিরোজ কবির বলেন, মরহুম সৈয়দ আলী খানকে নবীন খান হিসেবে চিনতাম। তিনি ১৯৭০ সালে এবং ১৯৭৩ সালের সংসদ নির্বাচনে আমার পিতার পক্ষে কাজ করেছেন। সৈয়দ আলী খান আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন আমার বাবার সাথে রাজনীতি করতেন। তাকে নিয়ে যারা মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে তাদের জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অভাব আছে। ব্যাক্তি স্বার্থে এসব নোংরামি করছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সাতবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম, আমরা ভারত থেকে ট্রেনিং নিয়ে আসার পর সৈয়দ আলীর বাড়ীতে ছিলাম। তিনি আমাদের সার্বিক সহযোগীতা করতেন। তিনি স্বাধীনতা বিরোধী ছিলেন না।

বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, সৈয়দ আলী খান (নবীন খান) স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিলেন না। তিনি আমাদের পক্ষে ছিলেন এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন।

অক্টোবর ১৮.২০২১ at ১৮:১৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মিতা/রারি