যশোরের এক রোল মডেল ইউনিয়নের নাম চৌগাছার ফুলসারা, উন্নয়নের রূপকার চেয়ারম্যান মাসুদ চৌধুরীর

চেয়ারম্যান মাসুদ চৌধুরী

জেলার এক রোল মডেল ইউনিয়নের নাম চৌগাছার ফুলসারা। এ ইউনিয়নের সব বাড়ি থেকে বের হলেই পাবেন পিচ ঢালা পথ। কোথাও নেই মাটি কাদার রাস্তা। সন্ধ্যা নামলেই রাস্তায় রাস্তায় জলে ওঠে আধুনিক উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন স্ট্রিট রোড লাইট। এ ইউনিয়নের উন্নয়ন কল্পে গত ৫ বছরে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মেহেদী মাসুদ চৌধুরীর জন্য আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছেন ইউনিয়নবাসী।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে আজ আলোয় আলোকিত চৌগাছা উপজেলার ১ নং ফুলসারা ইউনিয়ন এলাকা। একটা সময় যেখানে রাস্তাঘাটের ছিল বেহাল দশা আজ সেখানে পিচ ঢালা পথ, স্ট্রিট লাইটসহ বিভিন্ন উন্নয়ন চোখে পড়ার মত। আর এসবের পিছনের উন্নয়নের রূপকার বর্তমান চেয়ারম্যান মেহেদী মাসুদ চৌধুরী।

স্থানীয়দের তথ্যানুসারে, টানা ৫ মেয়াদে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সফল সাধারন সম্পাদক বর্তমান যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও ১ নং ফুলসারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী মাসুদ চৌধুরী ছাত্র লীগের রাজনীতি ধরে এ পর্যন্ত উঠে এসেছেন। করোনা কালীন জনগণের বন্ধু এক স্বচ্ছ রাজনৈতিক ব্যক্তি তিনি। ইউনিয়ন থেকে উপজেলা সবখানেই সমানভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন এ নেতা।

২০১৬ সালের ৪ জুনেরর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার কান্ডারী হিসেবে দায়িত্ব তুলে দেন আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইউনয়িনবাসীর ভোটে চেয়ারম্যানপদে বিপুল ব্যবধানে জয় লাভ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া দায়িত্বকে কাঁধে নিয়ে জনগনের সহযোগিতাকে সঙ্গী করে এলাকার উন্নয়নে নিজেকে সপে দেন চেয়ারম্যান মেহেদী মাসুদ চৌধুরী।

আরো পড়ুন :
পদ্মায় অভিযানে দুই ব্যক্তিকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা
পথচারীদের মাঝে ফুলবাড়ী ব্লাড ব্যাংক ও হেল্প লাইন’র মাক্স বিতরণ

স্থানীয় সোহানুল আলম বাবু জানান, চৌগাছা উপজেলার ১ নং ফুলসারা ইউনিয়নের দূর্গাবরকাটি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আলহাজ মো. আবুল কাশেম চৌধুরী ও আলহাজ আয়েশা খাতুনের ছেলে মেহেদী মাসুদ চৌধুরী। পুরো পরিবার মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিটি সদস্য আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আর এ জন্য বিভিন্ন সময়ে তাদেরকে শারিরিক, মানসিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মূখীন হতে হয়েছেন। ঘটেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বসত বাড়িতে ও গ্রেফতারের ঘটনা।

সামাজিক দায়বদ্ধতা পূরণে মেহেদী মাসুদ চৌধুরীর মানবিক স্পর্শ ও আন্তরিক সহযোগিতা সব সময় অব্যহত। অন্যান্যরা যখন করোনা ভয়ে পালিয়ে গেছেন তখনও তিনি জীবনের ঝুকি নিয়ে দাড়িয়েছেন মানুষের পাশে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনগনকে সচেতনতা করাসহ সরকারীর তহবিল ছাড়াও নগদ প্রায় কোটি টাকা হত-দরিদ্র, শ্রমিকদের মাঝে বিতরণ করেছেন মাসুদ চৌধুরী। উপজেলার করোনাকে পিছু ঠেলে নিজ ইউনিয়নসহ উপজেলার ১৬৯ গ্রামে অসহয়দের বাড়িতে বাড়িতে চাল, ডাল, তেল, লবন, সাবান ও সবজি পৌঁছে দিয়েছেন।

এ প্রতিবেদককে চেয়ারম্যান মেহেদী মাসুদ চৌধুরী বলেন, রাজনীতি করতে এসেছি মানুষের সেবা করার জন্য। আমি ছাত্রাবস্থা থেকেই রাজনীতি করি। ইউনিয়নবাসী আমার উপর যে দায়িত্ব দিয়েছেন আমি বিশ^াস করি তা বহুলাংশে পালন করতে পেরেছি। সরকারের সার্বিক সহযোগিতায় একটি মডেল ও জনবান্ধব উন্নয়নশীল ইউনিয়নে রূপান্তরিত করতে কিছুটা হলেও সক্ষম হয়েছি। গত ৫ বছরে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। দৃশ্যমান উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পাদিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মানবতার মা শেখ হাসিনা যদি দ্বিতীয় মেয়াদে আমাকে নৌকা প্রতীক দেন তাহলে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জীবিকা ও উন্নত জীবন ব্যবস্থা তথা মানব সম্পদ উন্নয়নসহ ইউনিয়নবাসীর শতভাগ নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবো।

অক্টোবর ০১.২০২১ at ১২:৩০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/আক/রারি