বদলগাছীতে কৃষকের শসাময় রাজ্যে চোখ জুড়ে রঙ্গিন স্বপ্ন

নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুর, কোলা, মিঠাপুর, মথুরাপুর সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের মাঠজুড়ে দেখা মিলছে শত-শত বিঘা শসা ক্ষেত। যেন এই অঞ্চলটি শসার জন্য একটি অঙ্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে।

জানাযায়, বরেন্দ্র অঞ্চলের সর্ববৃহৎ জেলা নওগাঁ। আর এই জেলাটি ধান ও সবজ্বির জন্য বিখ্যাত বলে পরিচিত। এই উপজেলার উৎপাদিত কৃষিপণ্য এলাকার চাহিদা পূরণ করে রপ্তানি হয় রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে। তাছাড়া উৎপাদিত শসার কদর বেশি বাজারে। বিভিন্ন দেশি-বিদেশি শসা উৎপাদিত হয় এখানে।

বর্ষার সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত শসা চাষ করার উপযুক্ত সময়। বাজারে কয়কে বছর থেকে শসার দাশ ভালো থাকায় শসা চাষে আগ্রহ বেড়ছে কৃষকদের। এবার প্রায় পুরো উপজেলা জুড়ে শসার উৎপাদন বেড়েছে কয়েক গুণ। তবে অতিরিক্ত খরা-অনাবৃষ্টির কারণে কৃষকের দাবি আগামী বছরের তুলনায় এবারে ফলন হবে কম।

রহমত নামের একজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত বছর তিনি ৬ কাঠা জমিতে শসা চাষ করেছিলেন। ভালো ফলন ও বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় এবছর তিনি ১ বিঘা জমিতে শসা রোপণ করেন।

শসা চাষীদের তথ্য জানাযায়, শসা চাষ করতে বিঘা প্রতি তাঁদের খরচ হয় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় শসা উৎপাদন হয় ৬০ থেকে ৭০ মণ পর্যন্ত। তবে এবছর তাপদাহ ও অতিরিক্ত খরার কারণে উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হচ্ছে বলে জানান এলাকার কৃষকরা।

আরো পড়ুন:
৫৬৪ দিন বন্ধ থাকার পর আবাসিক হলে ফিরছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
ওমরাহ পালনে শর্ত শিথিল: প্রতিদিন ১ লাখ মানুষ

শসা চাষী আজাদ হোসেন বলেন, এবছর ২৫ শতক জমিতে শসা চাষ করেছেন তিনি। ফলন ভালো হলে ও বাজারে মুল্য ভালো পেলে প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা পর্যন্ত শসা বিক্রয় করতে পারবেন তিনি। তবে শসা ক্ষেতে এবছর কয়েকটি রোগের লক্ষণ দেখা মিলছে বেশি। এতে করে অনেক শসার গাছ জমিতে মারা পড়ছে। আর এতে করে কৃষককে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে।

অপরদিকে এলাকার হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিমণ শসা বাজেরে বিক্রয় হচ্ছে ১ হাজার ৩ শত থেকে ১ হাজার ৫ শত টাকা দরে।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানাযায়, এই উপজেলায় প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হেক্টর জমিতে শসা চাষাবাদ হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার হাসান আলী বলেন, আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এ বছরেও শসার ফলন ভালো হবে। বাজারে শসার ভালো দাম থাকায় কৃষকরা এবারো অনেক লভোবান হবে।

অক্টোবর ০৫.২০২১ at ১৩:২৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সরস/জআ