টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে দুই দিনব্যাপী নৌকাবাইচকে কেন্দ্র করে গত শনিবার ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে প্রতিযোগিতা চলাকালীন সময়ে আল্লাহ ভরসা ও যমুনার তরী নামক নৌকার সাথে সংঘর্ষে যমুনার তরী নৌকাটি ডুবে গেলে নৌকার প্রতিযোগীদের মাঝে সংঘাতের সৃষ্টি হয়।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে ৫ জন আহত হয়। আহতরা হলো- বিল্লাল, রাজ্জাক, শামীম, হ্নদয় ও হাবিল। এদের মধ্যে বিল্লাল, রাজ্জাক ও হ্নদয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখা দেওয়ায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
অপরদিকে, একই সময়ে আরো দুটি নৌকার মধ্যে সংঘর্ষ হলে তাদের সাথেও সংঘর্ষ হয়। ডুবে যাওয়া নৌকার প্রতিযোগীরা সাতরিয়ে পাড়ে উঠলে দেখা দেয় উত্তেজনা ও মারামারি। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলে নৌকা বাইচ কমিটি বাইচ স্থগিত ঘোষণা করেন।
গাবসারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান জানান, নৌকা বাইচকে কেন্দ্র করে যে সংঘর্ষ হয়েছিল তার জের ধরে আমাদের ইউনিয়নের কালিপুর গ্রামের দারাজ আলী (৪৬) ও তাঁর ছেলে সোহেল (২৫) রবিবার সকালে বঙ্গবন্ধুসেতু এলাকায় যমুনা নদীতে মাছ ধরতে গেলে ওই এলাকার যমুনার তরী নৌকার লোকজন তাদেরকে মারধর করে আটক করে রাখে।
পরবর্তীতে আটক এবং মারধরের বিষয়টি নিকরাইল ইউপি চেয়ারম্যান মতিন সরকারকে জানালে তিনি আটককৃতদের কে নিয়ে আসার জন্য বলেন। আমি এ ব্যাপারে তাদেরকে সুস্থভাবে বাড়িতে পৌছে দেয়ার জন্য অনুরোধ করি। এছাড়া ভূঞাপুর থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
এ নিয়ে গাবসারা ও নিকরাইল ইউনিয়নবাসীর মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন মুহুর্তে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল ওহাব জানান, এ ব্যাপারে আমি কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমাদের তদারকি অব্যাহত আছে।
সেপ্টেম্বর ২১.২০২১ at ১৯:২২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মাহামা/রারি