ইনজেকশন দিয়ে ২ ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিককে হত্যা, আরেক মালিক গ্রেপ্তার

বগুড়ায় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দুই মালিককে কৌশলে ইনজেকশন পুশ করে হত্যার অভিযোগে একই সেন্টারের সাদ্দাম হোসেন (২৬) নামে আরেক মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে হাতেনাতে আটক করার পর শুক্রবার তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সাদ্দাম হোসেন গাবতলী উপজলোর রামশ্বেরপুর গ্রামের জিন্নাহ মিয়ার ছেলে এবং বগুড়া সদরের পীরগাছায় অবস্থিত সালমা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অন্যতম মালিক।

গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন, ক্লিনিকের ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে কৌশলে হত্যাকাণ্ডের পথ বেছে নেন সাদ্দাম হোসেন। তিনি ওই ক্লিনিকের মালিক হলেও নার্স হিসেবে কাজ করতেন।

ক্লিনিকটির অপর দুই মালিক, যারা খুন হয়েছেন, তারা হলেন, শাহিন আলম ও সেলিম হোসেন। তারা দুই ভাই। সেলিমকে বৃহস্পতিবার রাতে ক্লিনিকেই ইনজেকশন পুশ করে হত্যা করা হয়। এর দুই মাস আগে একই কায়দায় শাহিন আলমকেও হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ।

বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে সেলিম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এতে তিনি সুস্থ না হলে রাতেই তাকে শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই কৌশলে বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করেন সাদ্দাম। এর ১০ মিনিট পর মারা যান সেলিম।

বিষয়টি সেখানের একজন টের পেয়ে যান। পরে সাদ্দামকে হাতেনাতে আটক এবং তার কাছ থেকে বিষাক্ত ইনজেশনের স্যাম্পল জব্দ করা হয়।

এদিকে শাহিন আলমকেও একই কায়দায় বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে হত্যার অভিযোগ উঠে সাদ্দামের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যাওয়ায় একই কায়দায় শাহিনের বড়ভাই সেলিমকেও হত্যা করেন সাদ্দাম। শুক্রবার বিকেলে সাদ্দামের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন সেলিমের বড়ভাই আব্দুস সামাদ।

আব্দুস সামাদ জানান, তারা সাতজন মিলে পীরগাছা বাজারে নয় মাস আগে সালমা ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সাতজনের মধ্যে তাদের পরিবারের চারজনের অর্ধেক এবং সাদ্দামের একাই অর্ধেক শেয়ার। সাদ্দাম নিজে ক্লিনিকে নার্স হিসেবে ছিলেন। এছাড়া সেলিম ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করতেন।

গ্রেপ্তারের পর সাদ্দাম জানান, ক্লিনিকটির পেছনে তার অবদান এবং পরিশ্রম সবচেয়ে বেশি। কিন্তু সেলিম ও শাহিন কোনো কাজ না করেই বসে থেকে টাকার ভাগ নিতেন। এ ক্ষোভ থেকে কৌশলে সেলিমকে হত্যা করেন তিনি। তবে দুই মাস আগে আরেক ভাই শাহিনকে হত্যার ব্যাপারে জানতে চাইলে সাদ্দাম নিশ্চুপ থাকেন।

আরো পড়ুন :
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় রক্তচাপ বাড়লে হতে পারে বিপদ
আ.লীগের কেন্দ্রীয় সভায় উঠে এলো তৃণমূলে কোন্দলের চিত্র

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম হোসেন বলেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। হত্যার কথা সাদ্দাম হোসেন স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় সাদ্দামের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।

সেপ্টেম্বর  ১০.২০২১ at ২১:১৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সম/রারি