বগুড়ার শিবগঞ্জে গভীর নলকূপের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ২জন আহত, থানায় মামলা গ্রেফতার ২।
থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বুড়িগঞ্জ ইউনিয়নের জামুর মৌজায় অবস্থিত গভীর নলকূপ সহ দেড় শতক জমি নিয়ে খাদইল গ্রামের মৃত. আ. গফুর সরকারের ছেলে নুরুল ইসলাম ও খাদইল মোন্নাপাড়া গ্রামের মৃত. আ. মমিন এর ছেলে আ. মতিন এর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে গত বৃহস্পতিবার বিকালে উক্ত গভীর নলকূপের বিদ্যুৎ সংযোগ এর বৈদ্যুতিক খুঁটির ব্যারেল পরে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। আব্দুল মতিন গভীর নলকূপের বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য ব্যালের তুলে দিতে গেলে নুরুল ইসলাম তার বল নিয়ে গভীর নলকূপের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছন্ন যান।
এসময় প্রতিপক্ষ খাদইল মোন্নাপাড়া গ্রামের আব্দুল মোমিন এর ছেলে আব্দুল মতিন তার দলবল নিয়ে উক্ত স্থানে গেলে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডতা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় ২ জন গুরুতর আহত হন। আহতরা হলেন, মসলেম উদ্দিন এর ছেলে ফরিদ উদ্দিন ও হায়দার আলীর ছেলে হাফিজার রহমান।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের লক্ষ্যে ২ জন কে আটক করে। আটকৃতরা হলেন, মোত্তালেব হোসেন এর ছেলে আশরাফুল ও মোমিনুল ইসলাম এর ছেলে নুরুল ইসলাম। এব্যাপারে নুরুল ইসলাম বলেন, গত ২০১৪ সালে আমার ছোট ভাই আ. মতিন এর নিকট থেকে দেড় শতক জমি লিখে নিয়েছি। প্রতিপক্ষ নিজে সনাক্তাকারী হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন।
তিনি আরো বলেন, গভীর নলকূপের বিদ্যুৎ সংযোগ, লাইসেন্স, সেচ কমিটির লাইসেন্স সরকারি বিধি মোতাবেক আমার নামেই রয়েছে। প্রতিপক্ষরা জোর পূর্বক গভীর নলকূপ পরিচালনা করতে চাই। ভূয়া কাগজ সৃষ্টি করে অযথা হয়রানি করে আসছে। এব্যাপারে অপর পক্ষ আব্দুল মতিন এর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা করা হয়েছে। সংঘর্ষের সাথে জড়িত উভয় গ্রুপের ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সংক্রান্তে থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে।
সেপ্টেম্বর ০৩.২০২১ at ১৮:৩৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সম/জআ