কালীগঞ্জে ক্ষেত মালিকের হাত দিয়েই দূর্বৃত্তরা ক্ষতি করলো ১২ কাঠা জমির ধরন্ত মরিচ গাছ

ভিটামিনের পরিবর্তে দূর্বৃত্তদের গুলিয়ে রাখা ঘাস মারা কীটনাশক নিজ হাতে স্প্রে করে ১২ কাঠা জমির ধরন্ত মরিচ ক্ষেত পুড়িয়ে ফেলেছেন। নিজের অসাবধানতায় এমন ক্ষতি হওয়ায় ওই কৃষক চরম অনুসচনায় ভুগছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের বেথুলী গ্রামের কৃষক মশিয়ার তরফদারের ধরন্ত ঝাল ক্ষেতে। তিনি ওই গ্রামের মৃত খেলাফত তরফদারের ছেলে।

মাঠের একাধিক কৃষক জানান, ধরন্ত মরিচ ক্ষেত নিজ হাতে স্প্রে করে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় নিজেকে অপরাধী ভাবছেন। মনের কষ্টে সারাক্ষন নিজেকে ক্ষমা করতে পারছেন না। গ্রামবাসী বলছেন, এটা অভিনব শত্রুতা ছাড়া আর কিছুই না।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মশিয়ার রহমান জানান, গত বছর মাত্র ৫ কাঠা জমিতে মরিচের চাষ করে যাবতীয় খরচ বাদে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পেয়েছিলেন। তাই এ বছর বেশি করে ১২ কাঠা জমিতে মরিচের চাষ করেছেন। এ পর্যন্ত বেশ কিছু টাকা ব্যয় করে এখন মরিচ ধরা ও বিক্রি শুরু করেছেন।

গত বুধবারের বাজারে প্রতিকেজি ৫৫ টাকা পাইকারী দরে মোট ৬৬ কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি করেছেন। তার আশা ছিল এ বছর ১২ কাঠা জমির মরিচ বিক্রি করে যাবতীয় খরচ বাদে ৩ লক্ষাধিক টাকা আসবে। কিন্ত অভিনব শত্রুতার জেরে নিজ হাতে নষ্ট করে ফেললাম সব। বার বার বলছেন আর চোখের পানি ফেলছেন।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মশিয়ার তরফদার আরও জানান,সোমবার সন্ধ্যার আগে ভিটামিন ঔষধ প্রয়োগ করবেন বলে স্প্রে মেশিনের ঢমে ভরে মাঠে নিয়ে যান। কিন্ত মাঠে পৌছানোর পরে লাগাতর বৃষ্টি শুরু হয়। বাধ্য হয়ে স্প্রে মেশিনের ঢমে গুলানো কীটনাশক ক্ষেতে রেখে চলে আসেন। পরের দিন মাঠে গিয়ে সেই ভিটামিন মেশানোর পানি ভেবে জমিতে স্প্রে করেন। বুধবার সকালে ক্ষেতে গিয়ে দেখেন সব ধরন্ত মরিচ গাছ মরে শুকিয়ে গেছে।

আরো পড়ুন :
জয়পুরহাটে স্বেচ্ছাসেবকলীগের বর্ধিত সভা
শিবগঞ্জে বিএনপি’র ৪৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

তিনি আরও বলেন, এমনটি হয়েছে আগের দিন যে ভিটামিন ঔষধ গুলিয়ে ক্ষেতে রেখে এসেছিলেন ঢমের সেই ঔষধ ফেলিয়ে দিয়ে কেউ ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে ঘাস মারা ঔষধ রেখে এসেছে। যা নিজ হাতে ক্ষেতে প্রয়োগ করে মস্ত বড় ক্ষতি করেছি। দূর্বৃত্তরা অভিনব কৌশলে আমার এমন ক্ষতিটি করে দিলো। এ ক্ষতি কোনভাবে পোষানোর নয়।

এ ব্যাপারে ওই কৃষক বাদি হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগের প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন।

সেপ্টেম্বর  ০১.২০২১ at ২০:১৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/বেহুবি/রারি