চাকরী বাচাঁতে রমনা ঘাটে ঢাকা যাত্রীর জনস্রোত

করোনা আতঙ্ক পিছে ফেলে, লকডাউন উপেক্ষা করে জনস্রোত নেমেছে চিলমারীর রমনা ঘাটসহ বিভিন্ন ঘাটে। স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। মুখে মাস্ক নেই। পা ফেলানোর জায়গা নেই নৌকা কিংবা নৌ-যান গুলোতে। দ্রুত ঢাকা ফেরার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যাত্রীদের নিকট থেকে আদায় করা হচ্ছে দ্বিগুন ভাড়া। হয়রানীর শিকার হচ্ছে যাত্রীরা। দুর্ভোগ চরমে।

দ্বিগুন ভাড়া আদায় ও অতিরিক্ত যাত্রী উঠানো হলেও অজ্ঞাত কারনে নিরব ভূমিকায় নাকে তেল দিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা প্রশাসনের । জানা গেছে, চলমান লকডাউনে হঠাতেই শিল্পকারখানা খোলার নির্দেশের সাথে সাথে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে গমনকারীরা যেন হুমরি খেয়ে পড়েছে।

একদিকে করোনায় প্রখর বাড়ছে, বাড়ছে মৃত্যুর হার অপরদিকে লকডাউন উপেক্ষা করে কুড়িগ্রামের চিলমারীর রমনা, জোড়গাছ, ফকিরেরহাটঘাটে নেমেছে জনস্রোত। অনায়াসে একটির পর একটি নৌকাসহ নৌ-যান গুলো ছেড়ে দিচ্ছে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে।

এমনকি বালু উত্তোলনকারী ড্রেজারেও ভর্তি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মানুষ। একদিকে যাত্রী নেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত সাথে ভাড়াও আদায় করা হচ্ছে দ্বিগুন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে যেতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে কর্মজীবিরা। সরেজমিন রমনা ঘাটে দেখা গেছে, হাজার হাজার মানুষের জনস্রোত নেমেছে। নৌকা এবং বালুর ড্রেজারে উঠতে হুমরি খেয়ে পড়ছে মানুষ। শুধু তাই নয় উঠতে গিয়ে অনেকে পড়ে যাচ্ছেন নদীতে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মানুষের চাপে ইতি মধ্যে দু’টি নৌকা ভেঙ্গে গেছে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

কারখানা খুলে দেয়া হচ্ছে শুনেই ছুটে এসেছেন রমনাঘাটে সাজেদুল, মমিনুল, সাহেদ, কথা হলে তারা জানান, লকডাউন বাস চলাচল বন্ধ তাই নৌকা দিয়ে পাড় হয়ে রাজিবপুর হয়ে কর্মস্থল ঢাকা যাবেন কারন কারখানা খোলা হবে তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলছেন। এসময় অনেকে জানান, যদি শিল্পকারখানা খুলে দেয়াও হবে তাহলে কেন বাস চলাচল স্বাভাবিক করা হচ্ছে না, কর্মজীবি মানুষকে কেন হয়রানী করা হচ্ছে।

বালুর ড্রেজারে যাত্রী হয়ে রাজিবপুর যাচ্ছেন শহিদুল, আকবর তারা বলেন, এখানে নেয়া হয়েছে অতিরিক্ত যাত্রী এর উপর ভাড়া নেয়া হচ্ছে আগের তুলনায় দ্বিগুন। ঘাটে টাকা উত্তোলনের দায়িত্ব থাকা কয়েকজন জানান, আমাদের কি করার আছে মানুষ তো মানছেনা।

দ্বিগুন ভাড়া আদায় করা হলেও কোন রশিদ দেয়া হচ্ছেনা বলে জানালেন যাত্রিরা। ভাড়া আদায়ের ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ঘাটে দায়িত্বরতরা। ঘাটে পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও তাদের কোন ভুমিকা দেয়া যায়নি। তবে একটি সূত্রে জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেনের নিকটতম আত্মিয় ঘাট নেয়ায় অনিয়ম হলেও কেউ কথা বলছেননা এবং অজ্ঞাত কারনে প্রশাসনও নিরব রয়েছেন। কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন,

আরো পড়ুন:
গাইবান্ধায় করোনা রোগীদেও জন্য জরুরী অক্সিজেন সার্ভিস ও ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন
মাছ ধরার উৎসবে মেতেছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা

দ্বিগুন ভাড়া আদায়ে সুযোগ নেই, কেউ আদায় করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থানেয়া হবে। কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা বলেন, ঘাটে টোল চাট না থাকায় ভাড়া নিয়ে জটিলতা দেখা দেয় এবং অতিরিক্ত যাত্রি যেন উঠানো না হয় সে বিষয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে পড়ে কথা বলবেন বলে জানান, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক।

এব্যাপারে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

জুলাই ৩১.২০২১ at ১৬:৩৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ফহ/জআ