করোনায় নরসুন্দর দের কাজের অভাব

‘আমরা বাঁচবো কেমনে, ঘরে খাবার নেই। গেল কয়েকদিন খেয়ে না খেয়ে দিন কাটিয়েছি, খিদের জ¦ালা সহ্য করতে না পেরে মৃত্যু ভয়কে উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বেরিয়েছি। কিন্তু সারাদিন বাজারে রাস্তার পাশে বসে থাকলেও আয় হচ্ছে না।’ কথা গুলো বলছিলেন, চিলমারী উপজেলার জোড়গাছ পুরাতন বাজার সড়কের ধারে কাজের সন্ধানে বসা নরসুন্দর সতিন্দ্রনাথ (৫৭)।

জীবিকার তাগিদে ক্লান্ত-শ্রান্ত আরেক নরসুন্দর নুরু মিয়া (৫০) বলেন, ‘সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৭০-৮০ টাকা রোজগার হয়েছে। মানুষ করোনা সংক্রমনের ভয়ে চুল কাটছে না, আগের মতো সেভও করছে না। পরিবারের ১০ সদস্যের খাবারের ব্যবস্থা করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন তিনি।’

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার থানাহাট বাজারের সড়কের ধারে নরসুন্দর বসেন ৪ জন, জোড়গাছ নতুন বাজারে ৩ জন, জোড়গাছ পুরাতন বাজারে ২ জন, রাণীগঞ্জ বাজারে ২ সহ মোট ১১ জন। সড়কের ধারে পিঁড়ি বিছিয়ে আয়ের এসব শ্রমজীবী নরসুন্দররা জীবিকা নির্বাহ করতেন। দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমনের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় পর থেকে চরম অনিশ্চয়তায় দিন পার করছেন।

জোড়গাছ নতুন বাজার সড়কের ধারে বসা নরসুন্দর পুষ্প, দিবেন সরকারের কাছে আর্থিক সহায়তার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘সরকার যদি খেটে খাওয়া মানুষের দিকে না তাকায়, তাহলে আমরা বাঁচমো কেমনে।’

এ বিষয়ে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আয়ের এসব মানুষের জন্য সরকার সব সময় পাশে আছে। তাদের তালিকা পেলে সহযোগীতা করা হবে।

 

জুলাই,১৫.২০২১ at ১৮:২২:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমটি/এসআর