দোকানের শার্টার খুলে বেচাকেনার দৃশ্য দেখতে পেল পুলিশ

সারাদেশে চলমান লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে খুলতে শুরু করেছে দোকানপাট। পরে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে পুলিশ গিয়ে এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। এছাড়া বেশকিছু দোকানের শার্টার খুলে ভেতরে বেচাকেনার দৃশ্য দেখতে পায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতিতে ক্রেতা-বিক্রেতারা চরম বেকায়দায় পড়ে যান। ভয়ে অনেকে পালিয়ে যান।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে ১৪ দিনের চলমান লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিলের সরকারি সিদ্ধান্ত আসে আগেরদিন সোমবার (১২ জুলাই)। ঈদুল আজহা উপলক্ষে লকডাউন শিথিলের নতুন বিধিনিষেধ ১৫ জুলাই থেকে কার্যকরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজারের ব্যকসায়ীরা দোকানপাট খুলতে শুরু করেন। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শফিক আহমেদ ফোর্স নিয়ে বাজারগুলোতে অভিযান চালিয়ে এসব দোকানপাট বন্ধ করে দেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই ছিল তৈরি পোশাকের দোকান।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আল্লারদর্গা শিল্প এলাকায় সবচেয়ে বড় বাজারটিতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় ওই বাজারের বেশ কয়েকটি তৈরি পোশাকের দোকান বাইরে থেকে শার্টার নামানো বা বন্ধ দেখা গেলেও ভেতরের চিত্র ছিল পুরোপুরি ভিন্ন। পুলিশ একে একে দোকানগুলোর বন্ধ শার্টার খুলে ভেতরে বেচাকেনার দৃশ্য দেখতে পায়। ক্রেতাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ক্রেতা ছিলেন। পুলিশের আকস্মিক উপস্থিতিতে ক্রেতা-বিক্রেতারা উভয়ই চরম বেকায়দায় পড়ে যান। অভিযানের সময় পুলিশের লাঠিপেটার ভয়ে অনেকে দিগ্বিবিদিক পালিয়ে যান।

পুলিশের অভিযানের সময় একটি পোশাকের দোকান থেকে বেরিয়ে আসছেন দুই নারী ক্রেতা। ছবি: দেশ দর্পণ

এছাড়া দৌলতপুর থানা বাজার, তারাগুনিয়া বাজার, হোসেনাবাদ বাজার, মথুরাপুর বাজার, প্রাগপুর বাজার, মহিষকুণ্ডি বাজার, খলিসাকুণ্ডি বাজার, বড়গাংদিয়া বাজার, রিফায়েতপুর বাজার, দৌলতখালী বাজারসহ এখানকার প্রায় সবগুলো বাজারেরই দোকানপাট মঙ্গলবার খোলার খবর পাওয়া গেছে। লকডাউন শিথিলের দুদিন আগেই এসব দোকানপাট খোলার খবরে পুলিশের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করছেন। দুপুরে এ খবর লেখার সময় পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হচ্ছিল।

দৌলতপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শফিক আহমেদ উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন বাজারে ব্যবসায়ীরা লকডাউন ভঙ্গ করে দোকানপাট খুলতে শুরু করায় আমরা সেগুলো বন্ধ করে দেই। আল্লারদর্গা বাজারে অনেকগুলো দোকানের শার্টার নামিয়ে ভেতরে বেচাকেনা করা হচ্ছিল। আমরা শার্টাার খুলে দোকানগুলোতে অধিকাংশ নারী ক্রেতাদের দেখতে পাই। পরে সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। লকডাউন শিথিলের নির্দিষ্ট সময়ে সরকারি নিয়ম মেনে এসব দোকানপাট খোলার কথা জানিয়ে দিয়েছি।