হরিনাকুন্ডুর ভবানী পুর পান হাটের সাথে সংশ্লিষ্ট শত শত শ্রমিক প্রতিহিংসার শিকার

ধান কলা পান ঝিনাইদহের মান। এই কথাটি বাংলাদেশের সকলেই জানে এই পান শিল্প এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। গ্রাম্য রাজনীতির শিকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপনের করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে ভবানী পুরের পান হাটের সাথে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক, পানচাষী, ও প্রান্তিক পান ব্যবসায়ীদের।

পান হাটের সাথে জড়িত ব্যবসায়ী,শ্রমিক ও পানচাষী কৃষকরা পরিবার নিয়ে এখন মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, জেলার হলিধানী, হরিনাকুন্ডুর আমের চারা, শাখারীদহ সহ বিভিন্ন পান হাট যথারীতি চলছে।

শুধু মাত্র গ্রাম্য রাজনীতির প্রতিহিংসায় এই পান হাটটি বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এর ফলে বেকার হয়ে পড়েছে হাট সংশ্লিষ্ট শত-শত শ্রমজীবী মানুষ। তাছাড়াও প্রান্তিক পানচাষী সহ পান ব্যাবসায়ীরাও রয়েছেন কষ্টে।

সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানা গেছে, অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে কুট কৌশল অবলম্বন করে প্রশাসনকে ভুল তথ্য দিয়ে গত ৭ জুলাই ভবানী পুর পান হাট বন্ধ করে দিয়েছে। আর এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে
হাটের সাথে জড়িত থাকা বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। এদিকে হাট বন্ধ থাকায় চাষীরা পান ভেঙে গাছ নামাতে না পারলে আগামী মৌসুমে পান ফলাতে পারবেন না বলে আশংকা করছেন।

ভুক্তভোগীরা জানান,এই পান হাটটির মালিক অহিদুল ইসলাম অহিদ। তিনি ৩নং তাহের হুদা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার। তিনি আগামী নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। ইতিমধ্যেই তিনি জনকল্যান মুলক কাজ করে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।

এতে এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম মনজের ঈর্ষান্তিত হয়েছেন। তাই তিনি প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে পান হাটটি বন্ধ করিয়েছেন। এলাকাবাসী জানান, পান হাটটি বন্ধ করার ফলে এলাকার হাজারো মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। হাটটি এখন গরু বাঁধার জায়গা হয়েছে। এছাড়াও প্রান্তিক পানচাষীরা পান বাজারে বিক্রি করতে না পারার কারনে বরজেই পান পচে নষ্ট হচ্ছে।

ফলে তারা চরম লোকসানের মুখে পড়ছেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জেলায় অনান্য পানহাট যথারীতি চলছে অথচ ভবানীপুর পানের হাট বন্ধ থাকবে কেন? তারা অবিলম্বে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই ঐতিহ্য বাহী পান হাটটি চালু করার দাবী জানান।

আরো পড়ুন:
যশোরে এমপি নাবিলের পক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
পশুরহাট ও কোরবানির বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ২৩ নির্দেশনা

হরিনাকুন্ডুর শাখারীদাহ ও আমের চারা পান হাট চালু রয়েছে, অথচ ভবানী পুর বন্ধ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে হরিনাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানা বলেন, উর্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশে ভবানীপুর পানের হাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে আমের চারা ও শাখারীদহ বাজারের পানের হাট চালু আছে কিনা তাঁর জানা নেই। তিনি সবগুলো পানের হাটই বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান।

জুলাই,১১.২০২১ at ১০:১০:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমটি/এসআর