কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে এই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে নিজ উদ্যোগে সুপারির বাগানে বস্তায় আদা চাষ শুরু করেছেন অলিউর রহমান নয়ন নামের এক কৃষক। তার এ অসাধারণ উদ্যোগে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি অনেকেই এ পদ্ধতিতে আদা চাষে আগ্রহী হবেন বলে উপজেলা কৃষি বিভাগ আশা প্রকাশ করেছে।
অলিউর রহমান নয়ন রাবাইটারী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক ও উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্বফুলমতি গ্রামের মৃত ইব্রাহিম আলীর ছেলে। এছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন ধরে দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার উপজেলা সংবাদদাতা হিসাবে কাজ করে আসছেন।
কলেজে চাকুরী ও র্দীঘ ১৫ বছর ধরে সংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি কৃষি ও মাছ চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। তার ইচ্ছা সুপারির বাগানে বানিজ্যিকভাবে বস্তায় আদা চাষ করে লাভবান হলে কৃষি বিভাগের মাধ্যমে উপজেলার কৃষকদের এ পদ্ধতিতে আদা চাষে অনুপ্রাণিত করবেন।
কৃষক অলিউর রহমান জানান, প্রায় ১০ শতাংশ আয়তনের সুপারির বাগানের ভিতর বস্তায় আদা চাষ করতে সব মিলিয়ে তার খরচ হয়েছে মাত্র ৮ হাজার টাকা। পরিমান মত জৈব ও রাসায়নিক সার এবং দানাদার কীটনাশক বেলে দো-আঁশ মাটির সাথে মিশিয়ে ভরেছেন বস্তার অর্ধেক পরিমান। তাতে ৩ টি করে আদার কন্দ রোপন করে সুপারি গাছের ফাঁকে ফাঁকে সারি করে রেখেছেন ৪ শতাধিক বস্তা।
এরপর বালাই নাশক প্রয়োগ সহ চালিয়ে যাচ্ছেন সব ধরণের পরিচর্যা। রোগ বালাই এবং আবহাওয়া বা প্রকৃতিগত আপদ না হলে জমির আদার চেয়ে দ্বিগুন ফলন সহ লাভবান হওয়ার আশা করছেন তিনি। এ বছর লাভবান হলে পরবর্তীতে আরও ব্যাপকভাবে বস্তায় আদা চাষ করবেন বলে জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রশিদ বলেন, বস্তায় মাটি ভরাট করে আদা চাষ করা কৃষকদের নিকট এটি একটি নতুন ধারণা। এভাবে আদা চাষ করে সফলতা পাবেন কৃষকরা। এবারে প্রায় ১শ জন কৃষক স্বল্প পরিসরে বস্তায় আদা চাষ করলেও কৃষক অলিউর রহমান নয়ন বানিজ্যিক ভাবে সুপারি বাগানে বস্তায় আদা চাষ করেছেন। শুধু সুপারির বাগানে নয়, বাড়ীর ছাঁদে ও পরিত্যাক্ত চাতালেও বস্তায় আদা চাষ করা সম্ভব। তাই কৃষকদের বস্তায় আদা চাষ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
যদি কেউ এভাবে আদা চাষে এগিয়ে আসেন তাহলে উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রযুক্তি ও প্রক্রিয়াগত ভাবে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। তিনি আরও জানান, এ বছর উপজেলায় প্রান্তিক চাষিরা ৪৫ হেক্টর জমিতে আদা চাষ করেছে। আবহাওয়া অনুকুল থাকলে গত বছরের চেয়ে এবছর আদার ফলন ভাল হবে বলে আশা করছি।
জুলাই,০৮.২০২১ at ১৯:৪৭:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমটি/এসআর