ঝিকরগাছায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনা

যশোরের ঝিকরগাছায় করোনা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। গত দুই সপ্তাহে ৯৮ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে করোনায় আক্রান্ত রোগী ছড়িয়ে পড়ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মাসের পহেলা জুন ৩ জন, ৩রা জুন ১২ জন, ৫ জুন ৯জন, ৬ জুন ১৩জন, ৭ জুন ৮জন ও ৮জুন ১২, ৯ জুন ১১ জন, ১০ জুন ৭ জন, ১২ জুন ৭ জন, ১৩ জুন ১০ জন এবং ১৪ জুন ৬ জনের শরীরে করোনা পজেটিভ এসেছে। আক্রান্তদের সকলের নিজনিজ বাড়িতে হোমকোয়ারেন্টিনে থেকে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন।

এদিকে করোনা নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন, ঝিকরগাছা পৌরসদরের কৃষ্ণনগর গ্রামের ইনছার আলীর স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৬১), কৃষ্ণনগর গ্রামের কাশেম আলীর স্ত্রী খাদিজা বেগম(৬৫) ও গদখালী ইউনিয়নের বাবুপাড়ার আজিজুর রহমান (৫০)।

এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাজিরবাগ ইউনিয়নের মহেশপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সামাদ খান ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়াও নন্দী ডুমুরিয়া, মল্লিকপুর, কাশিপুর, মহেশপাড়া সহ বিভিন্ন গ্রামে করোনায় পজেটিভ হচ্ছে। পল্লী চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গ্রামের অধিকাংশ মানুষের শরীরের জ্বর, সর্দি, মাথা ব্যাথা, কাশি নিয়ে মানুষ চলাচল করছে। যে পরিবারে জ্বর দেখা দিচ্ছে, সেই পরিবারের সবাই এভাবে অসুস্থ হচ্ছে।

বর্তমানে আক্রান্ত করোনা রোগীরা হোম কোয়ারেন্টিনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলেও জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রশিদুল আলম।

নিজবাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা দুস্থ ও অসহায় পরিবার গুলোকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেয়া হচ্ছে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত রহমান জানিয়েছেন।

তবে ঝিকরগাছায় দিনদিন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে মানুষের মাঝে তেমন কোন উৎসাহ দেখা যাচ্ছেনা। ঝিকরগাছায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডা. কাজী নাজিব হাসানের নেতৃতে পৌরসদরের হাজেরালী মোড়, গদখালী ইউপির ফতেপুর গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় জনসচেতনতামুলক সাইনবোর্ড লাগিয়ে হ্যান্ড মাইকিং করা হয়েছে এবং পুলিশের পক্ষ থেকেও মাস্ক বিতরণ ও মাইকিং করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন:
চিলমারীতে চলাচলের ব্রিজ যখন মরণ ফাঁদ

সোমবার সকালে উপজেলার বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ রিপন বালার নেতৃত্বে বাঁকড়া বাজার সহ আশেপাশের কয়েকটি বাজারে মাস্ক পরিধান করার জন্য সচেতনতামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করেন এবং যাদের মুখে মাস্ক ছিলনা, তাদের মাস্ক পরিয়ে দেন।