ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনের মহা উৎসব চলছে

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার নারায়ণকান্দি গ্রামের ফসলী জমি নষ্ট করে দিনের পর দিন জেলা প্রশাসকের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রভাবশালী আক্তার মেম্বর অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে।

স্থানীয় জনসাধারণ অভিযোগ করে বলেন, সাবেক জেলা প্রশাসক জনাব সরোজ কুমার নাথ স্থানীয় শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে সাড়াদিয়ে সরোজমিন পরিদর্শন করে এ অবৈধ বালু উত্তালণ বন্ধ করেন। জব্দ করেন বালু উত্তোলনের সরঞ্জাম।

কিন্তু তিনি বদলি হওয়ার সাথে সাথে কিছু স্বার্থলোভি মহলকে ম্যানেজকরে আবারও শুরু করছেন এ বালু উত্তালণ। যা আদোবন্ধ হবে কি না তা অজানা।

তবে এবার ভিন্ন কৈশলে শুরু করেছেন এ বালু উত্তালন। এবার রাতের আধারে বালু উত্তোলন করছেন। আর দিনের বেলা বিক্রয় করেন। এছাড়া একদিনে অধিক পরিমানে বালু উত্তালন করে পাহার করে রাখেন বলেও অভিযোগ করেন ।

অন্যদিকে কিছু বলতে গেলে তিনি জানান,বালু তোমার পুলিশ মামারা নিচ্ছে, ক্যাম্প ভরাট করছে, এবার করো মানববন্ধন। আর কিছুই হবে না।
এ ব্যাপারে বালু উত্তোলনকারী নারায়ণ কান্দি গ্রামের প্রভাবশালী আক্তার মেম্বর,ও তার পাটনার লাল জানান,আমি সত্যি কথা বলবো,আমরা জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ রেখে ছিলাম। হঠাৎ জানতে পারলাম পুলিশ ক্যাম্প ভরাটের জন্য মাটি লাগবে।

ব্যাস পরিষদের চেয়ারম্যান সহ বসে গেলাম,ওসি সারের সাথে,তিনি বললেন,কতটাকা লাগবে এটি ভরাট করতে,আমি বললাম,তিনচার লাখটাকা তো লাগবেই। ওসি স্যার বললেন,আমরা মাত্র পঞ্চাশ হাজার টাকা পেয়েছি,আপনাদের ঠকাবো না,চল্লিশ হাজার টাকা দেবো।আমি বললাম, তিনচার লাখটাকার কাজ মাত্র চল্লিশ হাজার টাকা তা পারবো না। ঠিক আছে লস করাবো না,তেল খরচ কত হবে,আমি বললাম,সত্তোর হাজার হবে,ঠিক আছে কাজশুরু করেন দেখবো বলেছেন ওসি স্যার।

এখন পর্যন্ত কোন টাকা পেয়েছেন কি না তা জানতে চাইলে বলেন,ঈদের আগে বালুর গাড়ি থানায় নিয়েগিয়েছিলো,পরে ছেড়ে দিয়েছে,এখন দিনে দুগাড়ি দিচ্ছি আর বাইরে বিক্রয় করছি,মাত্র বিশ হাজার টাকা পাইছি, তাহলে লস হলো না,বলেন ওসি স্যারের দোষ নেই,আমারও দরকার ফাঁড়িরও দরকার তালে গোলে মিলে চালাচ্ছি এই আর কি।

এব্যাপারে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা জনাব রাজিয়া আক্তার চৌধুরী মোবাইলে জানতে চাইলে বলেন,আমি তো জানিই না,আপনার কাছ থেকে প্রথম শুনছি,অথচ অনুসন্ধানে বেরিয়ে আশে কদিন পূর্বেই তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব সৈয়দা নাফিস সুলতানা জানান,অভিযোগ পেয়েছি অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এব্যাপারে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব আব্দুর রহিম মোল্লা জানান,সরকারি কাজের জন্য বালি নেওয়া হয়েছে,এখন বালি নেওয়া শেষ, সরাসরি এসে কথা বলেন,তাহলে কতটাকার বালি নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি কল কেটে দেন।

আরো পড়ুন:
মোজাম্মেলের অচল পায়ে সচল থাকার তীব্র লড়ায়

যেখানে প্রশাসন রক্ষা করবে সেখানে যখন প্রশাসন ভক্ষক করছে তাহলে আর নিরিহ জনসাধারণ কোথায় যাবে এমনটাই প্রশ্ন মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের। তবে তাঁরা এবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরনাপন্ন হবেন বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যম কর্মিদের।