মাদারীপুরে ত্রিভুজ প্রেমর জেরে অর্ধশত ঘরবাড়ি ভাঙচুর

মাদারীপুরে ত্রিভুজ প্রেমের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশত ঘরবাড়ি-দোকানপাট ভঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন এলাকাবাসী। ঘটনাস্থল থেকে ৪ জনকে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

আটকরা হলেন- মাদারীপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের থানতলী এলাকার রব মৃধার ছেলে সোহাগ মৃধা, সাঈদ মোল্লার ছেলে শাকিল মোল্লা, ফারুক আহম্মেদের ছেলে আব্দুলাহ আহম্মেদ, এনায়েত শেখের ছেলে রাজীব শেখ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মাদারীপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের পাকদী এলাকার আরিফ খলিফা ও শহিদ খলিফার সঙ্গে সম্প্রতি একই এলাকার এক তরুণীর প্রেমর সম্পর্ক হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে সপ্তাহখানেক আগে আরিফ ও শহিদের মাঝে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এরই জেরে বুধবার রাত ৯ টার দিকে আরিফ ও শহিদের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে পাকদী ও থানতলী এলাকায় দুইপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এ সময় অর্ধশত দোকানপাট-ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ওঠে। সংঘর্ষে আহত হয় অন্তত ছয়জন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফাঁকাগুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জান যায়, হঠাৎ রাতে শত শত মানুষ দেশীয় অস্ত্রশন্ত্র নিয়ে ঘরবাড়ি-দোকানপাট লুটপাট করে পালিয়ে যায়। এতে সবার মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দোষীদের আইনের আওতায় আনা না হলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে। আমরা এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা দাবী করছি। এদিকে এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন এলাকাবাসী।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম মিঞা জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় চরমুগরিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক হারুণ অর রশীদ বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় ৪৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১২০ জনের নামের বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় সোহাগ মৃধা, শাকিল মোল্লা, আব্দুলাহ আহম্মেদ, রাজীব শেখ নামের চারজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এপ্রিল ২৯, ২০২১ at ১৯:৩৯:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডিএইস/এমআরএইস