কেও কি ফারুকের একটি প্লাস্টিকের পা কিনে দিবেন ?

স্বপ্ন ছিল চাকরি করে দুই সন্তান মানুষ করব। অবিবাহিত এক বোনকে বিয়ে দিব। মা-বাবাকে ভালো ভাবে দেখাশোনা করব। চাকুরীও পেয়েছিলাম। ভালো বেতনও পাচ্ছিলাম। কিন্তু এক সড়ক দুর্ঘটনা আমার স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে। এখন আমার সংসার চালানো কষ্টকর। অভাব অনটনে দিন কাটছে। একজনের সহযোগিতা ছাড়া উঠতে পারিনা। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে গেলেও একটি পা কেটে ফেলতে হয়েছে। একটি প্লাস্টিকের পা লাগিয়ে চলাফেরা করব তাও কেনার সামর্থ্য নেই আমার’। এভাবেই কষ্টের কথা বলছিলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামের মকবুল মন্ডলের শিক্ষিত ছেলে ফারুক হোসেন (৩০)।

২০২০ সালের ২৩ আগস্ট শহরের সিটিমোরে ফল বোঝায় ট্রাকের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন তিনি। বাবা-মা সহায়-সম্বল বিক্রি করে চিকিৎসা করিয়ে ফারুক প্রাণে বাঁচাতে পারলেও হারিয়েছেন তার ডান পা। একটি প্লাস্টিকের পা লাগাতে চেয়েছেন টাকার জন্য তাও কিনতে পারছেন না।

পিতা মকবুল মন্ডল বলেন, আমার ছেলে মাস্টার্স শেষ করে একটি কোম্পানীতে চাকরী করছিল। তার পোস্টিং ছিল নোয়াখালীর লক্ষীপুরে। গত বছর বাড়িতে এলে দুর্ঘটনা ঘটে। এখন সংসার চালাতে পারছি না। ৭ সদস্যের সংসারে এখন অভাব-অনটন লেগেই রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে চিকিৎসা খরচ। এ অবস্থায় সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

বোন শিউলি খাতুন বলেন, আমার ভাই এখন চলতে পারে না। বাড়ি থেকে বের হলেই আমি সাথে যায়। আর কতদিন এভাবে চলবে সে ? প্লাস্টিকের পা কিনতে পারলে সে কোনমত চলাফেরা করতে পারতো। বৃদ্ধ বাবার সামর্থ্য নেই এতটাকা দেওয়ার।

ফারুক হোসেন বলেন, আমার জীবন তো শেষ। আমার ২ টি সন্তান রয়েছে। এখন পারিনা কোন কাজ করতে। পারিনা ভিক্ষা করতে। এই অবস্থার মধ্য দিয়েই চলছে।

তিনি বলেন, মানুষের সহযোগিতা পেলে একটি পা কিনতে পারতাম।

ফারুক হোসেনকে কোন হৃদয়বান ব্যক্তি সহায়তা করতে চাইলে তার যোগাযোগ ও বিকাশ নম্বর (০১৭৪১-৪২১০৮১)।

মার্চ ০৭, ২০২১ at১৮:৫০:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/কেএল/এমআরএইস