ঘোড়াঘাটে সেই নুর আলম সিদ্দিকী দাখিল পাশ

ঘোড়াঘাটে উপজেলার বলগাড়ী বাজারের,এই সেই, বলগাড়ী আদর্শ হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্ত্বাধিকারী নরপশু নুর আলম সিদ্দিকী। যিনি নুরু নামে পরিচিত। কসাই আখ্যায়িত নুর আলম সিদ্দিকীর দৃষ্টান্ত মুলুক শাস্তি দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী জানান,নুর আলম সিদ্দিকী বলগাড়ী ফাজিল মাদরাসা থেকে মানবিক বিভাগে দাখিল পাশ করেন। রংপুর একটি ওষুধের দোকানে কর্মচারী হিসেবে চাকুরী করেছিলেন। ওষুধের দোকানে কর্মচারী করার সুবাদে রাতারাতি ডাক্তার বনে যান নুর আলম সিদ্দিকী ।

বাড়িতে এসে নামের আগে ডাক্তার লাগিয়ে এলাকায় প্রচার করেন তিনি এক জন সার্টিফিকেটধারী অভিজ্ঞ ডাক্তার। কিন্তু বাস্তবে তার কোন সার্টিফিকেট ও অভিজ্ঞতা নাই। তার পরেও তিনি এলাকার গ্রামাঞ্চলের বলগাড়ী বাজারে আদর্শ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে তোলেন।

এলাকার শিক্ষিত,অশিক্ষিত অর্ধ শিক্ষিত অহায় মানুসের চোখে ধুলা দিয়ে দেদার ব্যবসা চালিয়ে গেছেন। এমনকি স্থানীয় প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে বছরের পর বছর ব্যবসা করেছেন।এলাকবাসীর প্রশ্ন বলগাড়ী বাজারে অনেক শিক্ষিত ও অভিজ্ঞ লোকের বসবাস। সেখানে কি করে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে অবৈধভাবে এমবিবিএস ডাক্তার ছাড়া ও চিকিৎসা সরঞ্জাম ছাড়া বড় ধরনের চিকিৎসা বা অপারেশনের মত দুঃসাহসিক কাজ করতে পারল।

ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের কেয়ার টেকার মজমুল হোসেন জানান, এই ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে সিজার করে থাকেন ডা: মোঃ আলী আকবর খান, ডা: মোঃ শহীদ হোসেন সহ আরো দু’একজন।

অপরদিকে বাজারের স্থানীয় লোকজন জানান, ডাক্তারদের সাইনবোর্ড থাকলেও অনেক ডাক্তার এখানে আসে না। পরিচালক নূর আলম সিদ্দিকী নিজেই সব অপারেশন করে থাকেন। এ ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ইতি পূর্বেও দু একটি ঘটনা ঘটেছে।

গত বছর ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিযান পরিচালনা করে জরিমানাসহ ক্লিনিকটি সীলগালা করেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে কয়েক দিন পরেই ডায়াগনষ্টিক সেন্টারটি পুনরায় চালু করা হয়।এলাকাবাসীর অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় দিন দিন বেড়েই চলেছে এসব ভুঁইফোঁড় ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের কার্যক্রম। সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।

মার্চ ৬, ২০২১ at২০:১৫:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমইউএএম/এমএসএইস