সাভারে চাঁদাবাজের ছুরিকাঘাত পুলিশ সদস্য আহত

সাভারে চাঁদাবাজের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছে এক পুলিশ সদস্য। মুমুর্ষ অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে সাভারের আনন্দপুর এলাকার বিমান বিল্ডিং জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক পাভেল মোল্লা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

আহত পুলিশ সদস্য হলেন কনস্টেবল মোহাম্মদ রাব্বি হোসেন (২৫), তিনি টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার মৃত রকিব মিয়ার ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ইকবাল হোসেন নামের এক বাস শ্রমিককে এলাকার মসজিদের পাশের ছনের বনে ডেকে নিয়ে যায় সাব্বির ও জহিরুল। ইকবাল যাওয়ার পর দেখেন সেখানে আরও ১০ থেকে ১২ জন অপেক্ষা করছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ইকবালের হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে মুখে ছেড়া কাপড় গুজে দেয় তারা। তারপর ২৫ হাজার টাকা চাঁদা না দিলে মেরে গুম করে ফেলার হুমকী দেয়।

এ সময় জোরপূর্বক ইকবালের পকেট থেকে ৫ হাজার ৩০০ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় অপহৃতরা।
পরে এক পথচারীর মোবাইল থেকে ‘৯৯৯’ ফোন করে ইকবাল। রাত দু’টার দিকে ইকবালকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় সাভার থানা পুলিশ। এসময় চাঁদাবাজরা ছনের বন থেকে বেড়িয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। তাদের মধ্যে সাব্বিরের ছুড়িকাঘাতে কনস্টেবল রাব্বি হোসেন (২৫) মারাত্মকভাবে আহত হন। সাথে সাথেই ঘটনাস্থল থেকে ১০জনকে আটক করে পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেছপুর থানার পলারগাতি গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে সাব্বির হোসেন (২৫), চাঁদপুর জেলার হাইমচড় থানার কমলাপুর গ্রামের মৃত মোসলেম খানের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৩৮), ছবি শেখের ছেলে লাল মিয়া (২০), মোহাম্মদ আলী (২৮), হাসমত আলীর ছেলে আব্দুর রহিম বাবু, মোহাম্মদ রাসেদ (২৬), আলী আকবর খানের ছেলে নজরুল ইসলাম খান (৩৮), হামেদ আলীর ছেলে আল-আমীন (৩০), কামাল হোসেন (৩৩), খোকার ছেলে সুজন শিকদার (৪৩), সবাই সাভারের আনন্দপুর এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ৪ থেকে ৫ জনকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে।

সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, রাতেই আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বুধবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।

জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পুলিশ সদস্য রাব্বি হাসপাতালে সংজ্ঞাহীন হয়ে পরে আছে বলে স্বজনরা জানায়।

মার্চ ৩, ২০২১ at২০:৫০:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আর্ক/এসএইস/এমএসএইস