বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং করোনা মোকাবেলায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা অপরিসীম

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহামেদ বলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং করোনা মোকাবেলায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা অপরিসীম। সরকারের নির্দেশনায় সেনাবাহিনী অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও সমরাস্ত্রে সজ্জিত হচ্ছে। স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য আমাদের মূল বাহিনী পদাতিক বাহিনীকে আধুনিক করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ইতিমধ্যেই ৫’শ অত্যাধুনিক গ্রেনেড ল্যাঞ্চার আমদানী করা হয়েছে। আরো আধুনিক মিজাইল ও অন্যান্য অস্ত্রের চুক্তি খুব শিঘ্রই হয়ে যাবে। সামগ্রিকভাবে সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়নের জন্য সরকারের যে দিক নির্দেশনা ছিল তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

বুধবার (৩ মার্চ) ঢাকার সাভার সেনানিবাসে ৯ম পদাতিক ডিভিশনের আয়োজনে ফায়ারিং প্রতিযোগিতা-২০২১ উপলক্ষে সমাপনী দিনে পুরষ্কার বিতরণ শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জেনারেল আজিজ আহামেদ আরো বলেন, শুধু সেনাবাহিনীকে আধুনিক করলেই হবে না। আধুনিক সরঞ্জামাদি দিলেই হবে না। সেই সরঞ্জাম যাতে দক্ষতার সাথে পরিচালনা করা যায় সেভাবে আমাদেরকে প্রশিক্ষিত হতে হবে। যত ভাল সরঞ্জামাদিই আসুক না কেন, যদি আমাদের ভাল প্রশিক্ষণ না থাকে তাহলে কোন ফল আসবেনা। অর্থাৎ প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই। অন্যান্য দেশের মত আমাদের এত আধুনিক সরঞ্জাম না থাকলেও আমরা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করলে দেশকে রক্ষা করতে পারবো।

পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ, নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল শাহীনুল হকসহ সেনাবাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তারা।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারী শুরু হওয়া এ প্রতিযোগীতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল ফরমেশনসহ লজিস্টিকস এরিয়া এবং ৪টি সতন্ত্র ব্রিগেডের ১৫টি দল অংশগ্রহণ করে। যেখানে ১৩ জন নারী সেনাসদস্যসহ মোট প্রতিযোগী ছিল ২’শ জন চৌকষ ফায়ারার।

২৪ পদাতিক ডিভিশনের আবদুল্লাহেল বাকি শ্রেষ্ঠ ফায়ারার ও ৭ম পদাতিক ডিভিশনের কর্পোরাল মো: জামাল খান রানার্সআপ নির্বাচিত হন। ফায়ারিং প্রতিযোগীতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন সেনা প্রধান।

মার্চ ০৩, ২০২১ at১৬:২২:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএইস/এমআরএইস