উদ্ভোধনের অপেক্ষায় সিরাজউদ্দিন সরকারি বিদ্যানিকেতন এন্ড কলেজের নবনির্মিত শহীদ মিনার

দেশব্যাপী স্বনামধন্য গাজীপুর টঙ্গীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সিরাজ উদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন অ্যান্ড কলেজ। অগ্রযাত্রার ৩৩ বছরে পদার্পণে এই প্রতিষ্ঠানে নির্মিত হয়েছে স্থায়ী শহীদ মিনার। গাজীপুরের মাটি ও মানুষের নেতা, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি’র আর্থিক সহযোগিতায় সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও পরবর্তী প্রজন্মকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য বোঝাতে শহীদ মিনার নির্মিত হয়েছে।

সিরাজ উদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন অ্যান্ড কলেজ ১৯৮৭ ইং সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি বছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে তিন পিলারের বেদিতে ভাষা শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হতো।

প্রতিষ্ঠানটি অগ্রযাত্রার ৩৩ বছরে পদার্পণে অধ্যক্ষ মো. ওয়াদুদুর রহমানের অক্লান্ত প্রয়াস ও চেষ্টায় স্কুল মাঠের উত্তর-পূর্ব পাশে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি ও শহীদদের শ্রদ্ধায় নির্মিত হয়েছে শহীদ মিনার। দীর্ঘদিন যাবত একটি স্থায়ী শহীদ মিনারের দাবি ছিল স্থানীয় এলাকাবাসী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।

একটি স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণে অধ্যক্ষ মো. ওয়াদুদুর রহমানের অনুরোধের প্রেক্ষিতে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি শহীদ মিনার নির্মাণে আর্থিক সহায়তা দেন।

সিরাজ উদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ, মোঃ ওয়াদুদুর রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই দেশ ব্যাপী আমাদের এই প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপক সুনাম রয়েছে। সকলের দোয়ায় ভাওয়াল বীর শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাষ্টারের সন্তান গাজীপুরের মাটি ও মানুষের নেতা আলহাজ্ব জাহিদ আহসান রাসেল এপপি’র সহযোগিতায় এরই মধ্যে আমাদের বিদ্যালয়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে শহীদ মিনার। এই প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়নের রূপকার জাহিদ আহসান রাসেল। অত্র প্রতিষ্ঠানের সকল প্রয়োজনে তিনি আমাদের সার্বিক সহযোগীতা করে আসছেন। তাই এবারের একুশে ফেব্রুয়ারিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মহান ভাষা আন্দোলনের সেই স্মৃতির মিনার উদ্বোধন করবেন জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।

আমাদের এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনার পাশাপাশি সরকারি নির্দেশনা মেনে জাতীয় সকল দিবস পালন করা হয়। সকলের সহযোগীতা থাকলে আগামী দিন গুলোতে আরো সুনামের সহিত এই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা সম্ভব হবে।

এ বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেন, ‘১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সংঘটিত হওয়া আন্দোলনই বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের ভিত্তি। ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ, বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে চির অম্লান। ১৯৫২ইং সালের একুশে ফেব্রুয়ারির রক্তাক্ত প্রহরের দুইদিন পর ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তৈরি করেছিলো প্রথম শহীদ মিনার। তৎকালীন সময়ে সাঈদ হায়দার ছিলেন ওই শহীদ মিনারের নকশাকার। পরবর্তী প্রজন্ম যেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য জানতে পারে সে জন্য শহীদ মিনারের প্রয়োজন। একজন দেশপ্রেমিক হিসেবে সকল মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষাশহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।’

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১ at১৭:৫১:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসআরএইস/এমএসএইস