বারোবাজারে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১, পরিচয় মিলেছে ৭ জনের

খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়কের ঝিনাইদহের বারোবাজারে যাত্রীবাহী বাস ট্রাক সংঘর্ষে আরও একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় ১১ জন মারা গেলেন। দুর্ঘটনার পরপরই শিশুসহ ১০ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। এদিকে যে ১১ জন প্রাণ হারিয়েছেন, তার মধ্যে সাতজনের পরিচয় মিলেছে।

নিহতরা হলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সিপাই মোস্তাফিজুর রহমান কল্লোল (২৫), কালীগঞ্জ উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের রনজিত দাসের ছেলে সনাতন দাস (২৫), ঝিনাইদহ সদরের নাথকুন্ডু গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে ইউনুস আলী (৩২), শৈলকুপা উপজেলার বগুড়া গ্রামের মৃত মহরম বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল আজিজ (৭৫), চুয়াডাঙ্গা সদরের ডিঙ্গেদহ গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে রেশমা (২৬), আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ গ্রামের জান্নাতুল বিশ্বাসের ছেলে ওয়ালিউল আলম শুভ (২৫), উপজেলার হরিন্দিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে হারুনর রশিদ সোহাগ (২৪), গাড়িচালক ও কোটচাঁদপুরের উজ্জ্বল হোসেন।

এদের মধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সিপাই মোস্তাফিজুর রহমান কল্লোল কালীগঞ্জ উপজেলার ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের সুন্দরপুর গ্রামের ইছাহক মন্ডলের ছেলে। তিনি যশোর থেকে পরীক্ষা দিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন।

বুধবার বিকাল ৩টার দিকে যশোর-ঝিনাইদহ সড়কের বারোবাজার এলাকায় আমজাদ আলী ফিলিং স্টেশনের পাশে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত সকলের মরদেহ বিকেলে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয় হয়েছে। যাদের পরিচয় পাওয়াগেছে তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বুধবার গড়াই পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-গ-১১০২১৪) যাত্রী নিয়ে কুষ্টিয়ার দিকে যাচ্ছিল। বাসটি বারোবাজার পার হয়ে আমজাদ আলী ফিলিং স্টেশনের কাছে পৌঁছুলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে যাত্রীবোঝায়  বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে  রাস্তার ওপর  উল্টে যায়। বাসের  যাত্রীরা জানান, বাসটি যশোরের দিক থেকে কুষ্টিয়া যাচ্ছিলো। চালক  বাসটি চালাচ্ছিলেন বেপরোয়া গতিতে।এ অবস্থাতেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

আর ওই বাসের আহত ৩০ যাত্রীকে কালীগঞ্জ ও যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা এখনও গুরুতর। কালীগঞ্জের ফায়ার সার্ভিস, বারোবাজার হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে তাদের উদ্ধার করেন।

নিহতদের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ২ জন মহিলা ১ টি শিশু রয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ঘটনাস্থলে স্থানীয় সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনার পৌছে উদ্ধার কাজে সহযোগীতা করেন। এ সড়কের সকল যান চলাচল ২ ঘন্টা বন্ধ ছিল।