কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যয্য মূল্য পেতে চালু হচ্ছে অত্যাধুনিক লাগেজ ভ্যান

এ দেশের কৃষকেরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল উৎপাদন করেন। রাষ্টের উৎপাদন আর উন্নয়নে কৃষকের রক্ত মিশে আছে। তাই তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যয্য মূল্য দিতে বর্তমান সরকার বাংলাদেশ রেলওয়ের বহরে অত্যাধুনিক লাগেজ ভ্যান চালু করতে যাচ্ছে। রেলওয়ের বিশেষ এ ভ্যানে কৃষিজাতপন্য পরিবহণ করে কৃষকরা হবে লাভবান। শনিবার দুপুরে বারবাজার রেলষ্টেশনে এ সংক্রান্ত বিষয়ে এক অংশীজন সভাতে কৃষকদের উদ্দ্যেশে প্রধান অতিথি ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার ও বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ শামছুজ্জামান এসব কথা বলেন। রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ এর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ জাহাঙ্গীর সিদ্দিক, প্রকল্পের পরিচালক মিজানুর রহমান, রেলওয়ের পশ্চিম জোনের চীফ অপারেরেটিং সুপারিনটেনডেন্ট শহিদুল ইসলাম ও ভাইস চেয়ারম্যান শিবলী নোমানীসহ রেলওয়ের বিভিন্ন স্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক ব্যবসায়ী ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রকল্পটির সার্বিক বিষয়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক শামছুজ্জামান কৃষকদের জানান, খুলনা থেকে ঢাকার পথে কয়েকটি স্টেশনে কৃষকদের উৎপাদিত কাঁচাপণ্যবাহি বহনে রেল বহরে ল্যাগেজ ভ্যান চালু করা হবে। এজন্য এ অঞ্চলে কয়েকটি ষ্টেশনে স্টপিজ হবে। রেল চলাচলে আধুনিকায়ন করতে খুব দ্রুত খুলনা থেকে দর্শনা পর্যন্ত ডবল লাইনের কাজ শুরু হবে। এসময় রেলের পতিত জমি দখলমুক্ত করা হবে। এ অঞ্চলের ডাবল লাইন চালু হলে কৃষি ও ব্যবসার প্রসার ঘটবে। তখন রেল যোগাযোগ হবে এ এলাকার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। যে কারণে খুব তাড়াতাড়ি কৃষক পর্যায়ে বৈঠক করা হবে। সেখান থেকে উৎপানের সাথে সরাসরি জড়িত কৃষকদের মতামত নেওয়া হবে।

প্রধান অতিথি ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার বলেন, ঝিনাইদহ ও যশোর অঞ্চল প্রচুর শাকসবজি, মৌসুমী ফল, ফুল ও অন্যান্য দ্রব্য মাছ, মাংস ও দুধ উৎপাদন হয়ে থাকে। দেশের মোট চাহিদার বড় একটি অংশ যশোর ও ঝিনাইদহ বিশেষ করে বারোবাজার এলাকা থেকে উৎপাদন হয়। কিন্তু কৃষকরা অনেক কষ্ট করে অর্থ দাদন নিয়ে ফসল উৎপাদন করলেও তার ন্যায্য মুল্য থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকে। এসব ফসলে লাভবান হয় মধ্যসত্বভোগী ব্যবসায়ীরা। তাই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদের কথা চিন্তা করে রেলওয়েতে এই বিশেষ পণ্যবাহি ভ্যানের ব্যবস্থা করেছেন। গেল ২০২০ সালের ৩১ আগষ্ট বাংলাদেশ রেলওয়ে ও গণচীনের যৌথ কোম্পানি ৭৫টি মিটারগেজ ও ৫০টি ব্রডগেজ লাগেজ ভ্যান সংগ্রহের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করে। এরই আলোকে আজকে স্থানীয়দের সাথে আলোচনা করা হচ্ছে। পণ্যবাহি এই বিশেষ রেল ভ্যান চালু হলে কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাবেন।

জানুয়ারী, ০৯,২০২১ at ১৮:১০:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/বিএইসবি/এমআরএইস