মহেশখালীতে পুষ্টিকর খাদ্য প্রস্তুতি ও রান্না প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

(মহেশখালী, ২১.১২.২০২০) মা ও শিশুর যত্ন, পরিপূরক খাদ্য প্রস্তুতি ও অপুষ্টি দূরীকরণে কাযর্রত এস এ আর পিভি কর্তৃক আয়োজিত পুষ্টিকর খাদ্য প্রস্তুতি ও রান্না প্রদর্শনী সোমবার (২১/১২/২০২০) অনুষ্ঠিত হয় কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলায়।

করোণা মহামারীর মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের ঠাকুরতলা গ্রামে অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুর মায়েদের এবং গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের সঠিকভাবে খাবার প্রস্তুত ও পুষ্টিকর রান্না তৈরীর কৌশল প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে তাদের ৬ মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের যত্ন, পরিপূরক খাবার তৈরি, গর্ভাবস্থায় ও দুগ্ধদানের সময়ে মায়েদের অতিরিক্ত খাবার, শিশুকে সঠিকভাবে দুগ্ধদান, পুষ্টিকর খাদ্য প্রস্তুতি এবং পরিপূরক ও সুষম খাদ্য সম্পর্কে ধারনা প্রদান করা হয়। সবশেষে পুষ্টিকর খাদ্য পরিবেশন ও বিতরণ করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক, মহেশখালী থানার ওসি মোঃ আব্দুল হাই, এসএআরপিভি’র প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মাহমুদ এমরান, এস সি এফ এর সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার আব্দুল্লাহ আল ফারুক (রাজন), সিনিয়র এডমিন এবং ফিন্যান্স অফিসার মো: আলী হোসেন, টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর-নিউট্রিশন কামরুন্নাহার সীমা, ডাটা ম্যানেজমেন্ট এন্ড রিপোর্টিং অফিসার সানজানা হাসান, ইউনিয়ন নিউট্রিশন সুপারভাইজার রাসেল আহমেদ, মনিকা রায়, আরজু বেগম, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইউনিয়ন নিউট্রিশন সুপারভাইজার মোহাম্মদ শাহজাহান, মো: আনোয়ার আলম, রামনাথ দত্ত, ছোট মহেশখালী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সিদ্দিক নুরি, ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বকুল রানী দে, পলাশ দে ও ফরিদা ইয়াসমিন এবং অত্র এলাকার অপুষ্টি আক্রান্ত শিশু এবং গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মা ।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মু. মাহফুজুল হক বলেন, একটা সময় মহেশখালীর প্রায় প্রতিটি ঘরে একটি করে অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশু ছিল যারা শিশুর প্রথম টিকা মায়ের শালদুধ কলার পাতায় ভাসিয়ে দিত, এখন এস এ আর পিভি, এসিএফ ও ডব্লিউ এফ পি এর সহযোগিতায় অপুষ্টির হার অনেকাংশে কমে গেছে। এসআরপিভি তাদের পুষ্টিসেবা অব্যাহত রেখে মহেশখালীতে অপুষ্টি দূরীকরণে তাদের অগ্রগতি সুদুরপ্রসারি করবে এটাই আমার কামনা। এসএআরপিভি’র আই এম সি এন এবং সি এম এ এম কার্যক্রমের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মাহমুদ এমরান বলেন, এসিএফ ও ডব্লিউ এফ পি এর সহযোগিতায় ও নিউট্রিশন টিমের দায়িত্বশীলতায় ২০১৪ সাল থেকে আমরা মহেশখালী উপজেলায় অপুষ্টি দূরীকরণে কাজ করে যাচ্ছি।

অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও উপজেলার দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় এই এলাকার প্রতিটি মা ও শিশুকে পুষ্টি সেবায় আওতাভুক্ত করে অপুষ্টি নামক কালোছায়া কে দূর করব। এছাড়াও এসিএফ এর সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার আব্দুল্লাহ আল-ফারূক বলেন, অতীতে এসিএফ অপুষ্টি দূরীকরণে যেভাবে কাজ করে এসেছে ভবিষ্যতেও এ কার্যক্রম চলমান রেখে এসএআরপিভি কে সকল প্রকার আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় দিয়ে এই এলাকার মানুষকে একটি পুষ্টিকর উপজেলা উপহার দেবে এটিই আমাদের লক্ষ্য।

মহেশখালী থানার ওসি মোঃ আব্দুল হাই বলেন, অতীতে আমি কোন পুষ্টি কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম না মহেশখালীতে এসে এই ধরনের স্বাস্থ্য সেবা মূলক কার্যক্রম দেখে আমি খুবই আনন্দিত, এই কার্যক্রম পরিচালনায় যেকোনো ধরনের সহযোগিতায় মহেশখালী থানা সর্বাত্মকভাবে আপনাদের পাশে থাকবে।

উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত সোসিয়াল অ্যাসিসট্যান্স এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন ফর দ্যি ফিজিক্যালি ভালনারেবল (এস এ আর পি ভি) সহযোগিতায় অ্যাকশন এগেনস্ট হাঙ্গার (এসিএফ) ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউ এফ পি) ২০১৪ সাল থেকে অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশু এবং গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের অপুষ্টি দূরীকরণে স্বাস্থ্য সেবা ও সঠিকভাবে শিশুদের যত্ন ও পুষ্টিকর রান্না প্রস্তুতির পরামর্শ বিষয়ক সেবা কার্যক্রম মহেশখালী উপজেলায় চালিয়ে আসছে।

ডিসেম্বর,২১, ২০২০ at ২০:০০:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আরএ/এমআরএইস