ঝিনাইদহের ওসি মিজানুর রহমানের হস্তক্ষেপে শিশু মারিয়া উদ্ধার

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বৈডাঙ্গা গ্রামের বিক্রি করা শিশু মারিয়া কে ওসি মিজানুর রহমানের হস্তক্ষেপে উদ্ধার করা হয়েছে। বিক্রয়কারী চক্রের ১সদস্যকে আটক করা হয়। শুক্রবার বিকাল ৪ টার দিকে ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্প তাকে আটক করেন।

জানা যায়,বৈডাঙ্গা গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্ত নাজমা বেগম (২৭) দুই সন্তানের জননী। দ্বিতীয় সন্তান গর্ভে আসলে নাজমার স্বামী ওমর আলী দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র চলে যায়।

অভাব অনটনের সংসারে অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবন চলছিল তার। এর মাঝে শিশু মারিয়া ১ অক্টোবর দুনিয়ায় আসে। এক দিকে অভাব অনটন।অন্যদিকে নিজে অসুস্থ থাকার কারনে বুকের দুধ পাচ্ছিলনা শিশুটি।

সেই সুযোগ কাজে লাগায় একই এলাকার আসান উদ্দিনের ছেলে গমীর উদ্দিন। সে নাজমাকে বিভিন্ন ভাবে প্রলোভন দেখিয়ে বাচ্ছাটিকে দত্তক নেয়,এবং পরে সে বাচ্ছাটিকে টাকার বিনিময়ে অন্যত্র দিয়ে দেয়।

এ ব্যাপারে নাজমা বলেন,গমীর উদ্দিন বলেছিল বাচ্ছা তার পরিচয়ে বড় হবে।সে আমাকে কিছু টাকা দিয়ে সাহায্য করবে।মাঝে মাঝে আমাকে দেখতে দিবে,কিন্তূ সে নিজে আমার বাচ্ছাকে গত ৫ অক্টোবর দত্তক নিয়ে অন্যখানে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে। গত কাল বাচ্ছাটিকে দেখতে তার বাসায় গেলে সে আমার সাথে খারাপ ব্যাবহার করে,এবং বলে বাচ্ছা বিক্রি করে দিয়েছে,বাচ্ছা নিতে হলে ২ (দুই) লক্ষ টাকা লাগবে।

এদিকে তথ্য সংগ্রহকালে গমীর উদ্দিন সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরন করেন এবং অভিযোগ অস্বিকার করেন।

ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান,ভুক্তভোগী নাজমা সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয় টি আমাকে জানালে আমি তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেই এবং গমীরকে আটক করি,পরে বাচ্ছাটি উদ্ধার করে নাজমা বেগমের কোলে তুলে দেই।